সিলেটের কানাইঘাটে ১২ বছরের শিশু সুলতানা বেগমকে ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের দায়ে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার সিলেটে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কানাইঘাট উপজেলার এরালিগুল গ্রামের আবুল উদ্দিন, বাবুল উদ্দিন, রাসেল আহমেদ ও সাদিক উদ্দিন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। এ ছাড়া ধর্ষণের পর লাশ গুমের দায়ে অপর একটি ধারায় চার আসামির প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৫ মে বান্ধবী ফারজানার বাড়িতে বেড়াতে যায় সুলতানা। ওই দিন ফারজানার ভাই আবুল উদ্দিনসহ অন্য আসামিরা বাড়ির পাশে একটি টিলায় কাজ করছিলেন। এ সময় আবুল উদ্দিন তার বোন ফারজানাকে খাবার জন্য পানি আনতে বলেন। কিন্তু ফারজানা না গিয়ে সুলতানাকে পানি দিয়ে পাঠায়। আসামিরা শিশুটিকে একা পেয়ে গণধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করতে মাটি চাপা দেয়।
সুলতানা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সুলতানার স্বজনরা মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় সুলতানা ভাই একলিম উদ্দিন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা দেন।