যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম-বিদ্বেষী বক্তব্য মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা দুর্বল করে দিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে পেন্টাগন।মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, এ ধরনের কথা-বার্তা ইসলামিক স্টেটের কর্মকাণ্ডকে আরও জোরদার করতে পারে।এদিকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ তীব্র সমালোচনার মুখেও দেশটিতে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে অটল রয়েছেন মিস্টার ট্রাম্প।তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট জাপানি-আমেরিকান নাগরিকদের নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার সাথে এই পরিকল্পনার কোন পার্থক্য নেই।ক্যালিফোর্নিয়ায় গত সপ্তাহে এক মুসলিম দম্পতির সশস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প মুসলমানদের জন্য মার্কিন সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান তুলে ধরলে, এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় মার্কিন রাজনৈতিক মহলে।এমনকি নিজের দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়েন মিস্টার ট্রাম্প।সামাজিক মাধ্যমেও তার এই বক্তব্যকে ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিষয়টি তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।ফরাসী প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন।আর হোয়াইট হাউজ বলছে, এই বক্তব্য প্রমাণ করে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার অযোগ্য।হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট বলছেন, গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বলেছেন, তাতে তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা থাকে না।একইসঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থীরা ট্রাম্পকে সমর্থনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেটিও তাদের অযোগ্যতাই নির্দেশ করে।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, আইসিস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ ধরনের বক্তব্য কোনভাবেই গঠনমূলক নয়।
ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য নিরাপত্তা দুর্বল করছে : পেন্টাগন
Share!