আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বৈধ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে গতকাল (শনিবার) জাতীয় পার্টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছিল। এ দেশে এ সকল বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে লাভ নেই।’
আজ রবিবার সকালে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিসির বিশেষ যাত্রীসেবা ‘উষা সার্ভিস’, ‘উত্তরা সার্কুলার সার্ভিস’ ও ‘অফিস যাত্রী সার্ভিস’ এর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এরপরে এরশাদের জনসভা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘তারা তো নিবন্ধিত, বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশে এ সকল বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে লাভ নেই।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘স্বৈরাচারী শক্তি হিসেবে আমরা যাকে বলি, পতনের কয়েক মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে এরশাদ সাহেব পাঁচ সিটে (১৯৯১ সালের নির্বাচনে রংপুরের পাঁচটি আসনে জিতেছিলেন এরশাদ) বিজয়ী হয়েছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা তো নির্বাচন করে আসছে, এখন সংসদে বিরোধী দল হিসেবে আছে। বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের সভা-সমাবেশ নতুন কিছু নয়। এখন সোহরাওয়ার্দী করার পর কেন প্রশ্ন আসবে?’
এ সময় ওবায়দুল কাদেরের কাছে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চান- আওয়ামী লীগ তো এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বে ছিল। এই দৃষ্টিকোণ থেকে শনিবারের সমাবেশ খারাপ লেগেছিল কি না?। জবাবে কাদের বলেন, ‘এ দেশের আরও খারাপ লাগার বিষয় আছে। সেগুলোতো হজম করে যাচ্ছি।’
এ ছাড়াও বাংলাদেশ একনায়কতান্ত্রিক শাসনের অধীনে এবং এখানে গণতন্ত্রের নূন্যতম মানদণ্ড নেই বলে জার্মান গবেষণা সংস্থা বেরটেলসম্যান স্টিফটুং এর প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের সিনিয়র সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও এইচ টি ইমাম সাহেব এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এখন আমাকে নতুন করে একই বক্তব্য রাখতে হবে, এটার তো কোনো মানেই নেই। তবে আমি এটা বুঝি যেই মুহূর্তে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রমের স্বীকৃতি দিল, সেই সময়ে এ রিপোর্ট কেন, এটা আমার প্রশ্ন।’
এ সময় বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করেও কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চ যারা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করবে না, তারা পাকিস্তানের পারপার্স সার্ভ করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তান এ গণহত্যার দায় স্বীকার করে নাই, ক্ষমা চায় নাই, অনুতাপ প্রকাশ করেনি। সেই পাকিস্তানের বন্ধুরাই এ দিবস পালন করবে না, সেটাই স্বাভাবিক।’