পদ্মাসেতু, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও খুলনা-মংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প সামনে রেখে মংলা বন্দরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গ্রহণ করা হয়েছে ৯টি প্রকল্প। এসব বাস্তবায়ন হলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে কয়েকগুণ।
তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, কেবল প্রকল্প গ্রহণই যথেষ্ট নয়, সঠিক সময়ে তা বাস্তবায়নও জরুরী।
২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা পদ্মাসেতু, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খুলনা-মংলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ। পদ্মাসেতু নির্মাণের পর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের তুলনায় দূরত্ব কম হবে মংলার। তখন চাপ বাড়বে এই বন্দরের ওপর। বর্তমান অবকাঠামো নিয়ে এই চাপ মোকেবেলা করা কঠিন হবে বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য।
সেই বিবেচনায় বন্দরে কন্টেইনার টার্মিনাল ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। দিগরাজ এলাকা থেকে মংলা পর্যন্ত বন্দরের ৬ কিলোমিটার সড়ক এবং ৪ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্যেও নেয়া হয়েছে প্রকল্প।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বা পিপিপি’র অধীনে ৩ ও ৪ জেটি নির্মাণ শেষ করার উদ্যোগ রয়েছে অনুমোদনের অপেক্ষায়। এছাড়া আউটার বার এলাকা ও বন্দরের জেটি থেকে রামপাল পর্যন্ত ড্রেজিং এবং ডুবন্ত ৫টি বিদেশী জাহাজ উত্তোলনে নেয়া হয়েছে আরও তিন প্রকল্প।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে কেবল প্রকল্প গ্রহণই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন নির্দিষ্ট সময়ে তা বাস্তবায়ন।
মংলা বন্দর উন্নয়নে এই ৯ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।