রাজধানীর দক্ষিণখানে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দক্ষিণখানের ২৪৭ ফয়দাবাদের একটি বাসার নিচতলায় আজ ভোরে বিকট শব্দে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ঘরের মধ্যে আগুন লেগে যায়। আগুনে ঘুমন্ত অবস্থায় এক পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। দগ্ধরা হলেন : রোমানা (৩০), তার মেয়ে মনিকা আক্তার (৮), রোমানার ভাই ইমরান (৩০) ইমরানের স্ত্রী জান্নাত (২২) ও তাদের মেয়ে তামমিয়া (২)।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণখানের ২৪৭ ফয়দাবাদের একটি বাসার নিচতলায় ভোরে বিকট শব্দে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা একই পরিবারের পাঁচজন আগুনে দগ্ধ হয়। এ সময় চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
রুমানার স্বামী মন্টু মিয়া জানান, দক্ষিণখান ফাইদাবাদ এলাকার তাদের নিজেদের একতালা বাড়ি। তিনি ওই এলাকাতেই সেনেটারির ব্যবসা করেন। ভোর সাড়ে ৪টায় তিনি তার ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপরই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢামেক সূত্র জানায়, আগুনে রোমানার শরীরের ৬০ শতাংশ, মনিকার ২০ শতাংশ, ইমরান ১০ শতাংশ, জান্নাতের ৮ শতাংশ ও তামমিয়ার ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানান, রুমানার ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। তার মেয়ে মনিকার শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অন্যদের হাত মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার আনজুম রশিদ বলেন, খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে টঙ্গী থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। তবে ইউনিট দুটি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি ধারণা করছেন।