আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম এক লাফে ১২ শতাংশ বেড়েছে। নির্বাচনের ঠিক আগের দিন সোমবার ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের শেয়ারের দাম এতটা বেড়ে যায়।
এর আগে গত তিন দিনে শেয়ারটির ৪১ শতাংশ দরপতন হয়। দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে কারণ কী তা জানা যায়নি।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প আবারো নির্বাচিত হতে পারেন এমন ভাবনা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কাজ করায় শেয়ারদর উর্ধ্বমূখী। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ফিরে এলে তার ট্রুথ সোশ্যাল গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
টুইট নিয়ে বিতর্কে টুইটার কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলে তিন বছর আগে তিনি নিজে যোগাযোগের জন্য ট্রুথ সোশ্যাল চালু করেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ স্থানীয় সময় ভোরে ভারমন্ট এলাকায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। এরপর বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় শুরু ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। পুরোদমে ভোটগ্রহণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় ৮টি অঙ্গরাজ্যে। এ তালিকায় রয়েছে নিউজার্সি, নিউইয়র্ক, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও ভার্জিনিয়া। এ ছাড়া ইন্ডিয়ানা ও কেনটাকিতেও শুরু হয়েছে ভোট।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। সিএনএন বলছে, মোট ২৫টির বেশি অঙ্গরাজ্যে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণ হচ্ছে অ্যালাবামা, ডেলাওয়্যার, ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয়, কানসাস, ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, মিশিগান, মিসৌরি, পেনসিলভানিয়া, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনেসিতে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় আমেরিকায়। এবার তাই আগেভাগেই এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিল কর্তৃপক্ষ। সিএনএন বলছে, ষড়যন্ত্র তত্ত্বে কান না দিতে ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে সুইং স্টেটে এ ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব স্থানে প্রথমে ভোট শুরু হয়, তার মধ্যে একটি হলো নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ডিক্সভিল নচে শহর। এখানে স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাতে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে ভোট গণনাও শেষ হয়েছে। সিএনএন বলছে, ফলাফলে ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সমসংখ্যক ভোট পেয়েছেন। শহরটিতে এবার মোট ভোটার ছয়জন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল অন্যান্য দেশের মতো ভোট সংখ্যা দ্বারা নির্ধারিত হয়। এটি নির্ধারিত হয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ওপর। প্রেসিডেন্ট হতে হলে একজন প্রার্থীকে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ২৭০টিতে জিততে হয়।