Wednesday , 18 September 2024
সংবাদ শিরোনাম
এনটিএমসি বিলুপ্তির দাবি, নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায়

এনটিএমসি বিলুপ্তির দাবি, নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায়

মোবাইল ফোনে আড়িপাতা ও ব্যক্তিগত কথাবার্তা অবৈধভাবে ফাঁস করার অভিযোগে বিতর্কিত সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারকে (এনটিএমসি) বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় এনটিএমসি বিলুপ্ত করে দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। খুব শিগগির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য ও অফিস সচিব শেখ ফরিদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বৃতিতে বলা হয়, এনটিএমসি নাগরিকের মোবাইল ফোন হ্যাকিং করে আড়িপাতা, ডিভাইসে নজরদারি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-মেসেঞ্জার, এক্স, টেলিগ্রাম, ভাইবার, ইমো ও স্কাইপি এমনকি ওয়েবসাইট ব্লক ও ই-মেইলে আড়িপেতে মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। এনটিএমসির এ ধরনের কার্যক্রম সংবিধান পরিপন্থী।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংবিধানের ধারা ৪৩-এর (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী- নাগরিকদের চিঠিপত্র ও যোগাযোগের সব মাধ্যমের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত এনটিএমসি তাদের নজরদারি সরঞ্জামের অপব্যবহার করেছে।

২০১৩ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের পরামর্শে এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নাগরিকদের ফোন কল রেকর্ড, ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা এবং বিভিন্ন অ্যাপ পর্যবেক্ষণসহ যোগাযোগে নজরদারি ও আড়িপাতার মতো কাজ করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। এনটিএমসি মোবাইল অপারেটরদের নির্দিষ্ট বার্তা পাঠাতেও বাধ্য করেছে। সংস্থাটি ফোন ও ভিডিও কলও রেকর্ড করেছে। এতে হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেক বিশিষ্ট নাগরিক।

অভিযোগ রয়েছে- এনটিএমসি ‘বিক্যাল মাউন্টেন ডাটা ইন্টারসেপ্টর’এর মতো বিপজ্জনক যন্ত্রও ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও এনটিএমসি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছ থেকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনেছে। তবে এ ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান শামীম জানিয়েছেন, নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা দোকান কর্মচারী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অসংখ্য লোকের ফোনে আড়িপাতা ও গুমের অভিযোগও রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেদিন এ কথা জানায়।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top