বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট নিরসনে পাশে থাকবে ভারত। সদ্য সমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। প্রথমে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আসবে। ফলে তেল পরিবহনের খরচ অনেকটা কমে যাবে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩১.৫৭ কিলোমিটার পাইপলিইন রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ১২৬.৫৭ এবং ভারত অংশে ৫ কিলোমিটার পাইপলাইন ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মাণ কাজ চলছে।
এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে এলএনজি আমদানির বিষয়েও কথা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের সরকারি সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে সহযোগিতা, ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান হতে বিদ্যুৎ আমদানির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ৭টি এমওইউ বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর নরেন্দ্র মোদি এবং আমি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য দেই। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেই।
এছাড়া পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ প্রযুক্তি, গ্রিন ইকোনমি, সুনীল অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।