‘বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না’―প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমাদের প্রচেষ্টা, আমাদের কোনো পতিত জমি একটুও যেন খালি না থাকে―এমন কথা জানালেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেল ৩টার দিকে সাভার সেনানিবাসে কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রতিযোগিতা-২০২২ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি একটি গাছের চারা রোপণ ও পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘স্বাস্থ্যসম্মত অর্গানিক পণ্য উৎপাদন করছি। শুধু সেনাবাহিনী নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছে দিতে পারব। আমাদের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে আমাদের বিভিন্ন আউটলেট থেকে সুলভ মূল্যে সাধারণ মানুষ নিতে পারবেন। এই মডেল শুধু এখানেই থেমে থাকবে না, এটা অন্যরাও অনুসরণ করবেন। ‘
সেনাপ্রধান আরো বলেন, ‘প্রতিযোগিতার মধ্যে ভালো করার তালিকায় সাভার অঞ্চল অন্যতম। তাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশও লাভবান হবে। দেশের মোট উৎপাদনে আমরাও যোগ করতে সক্ষম হব। ‘
সাভার এরিয়ার অধীনে সেনাবাহিনীর আওতাভুক্ত এক হাজার ৭২৯ একর জমির মধ্যে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন স্থাপনাসহ প্রশাসনিক ভবন বাদে পতিত ১৬০ একর জমিতে ৬৪টি পুকুরে মাছ চাষ এবং ৫৮৮ একর জমি ফলদ ও বনজ গাছের কৃষিভিত্তিক উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া সাভারে মিলিটারি ফার্মে প্রয়োজনীয় জমি বাদে গবাদি পশু পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করা হয়। এ ছাড়া সাভার এরিয়ার আওতাধীন জাজিরার অন্তর্গত চরজানাজাতে ৪২৭টি গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। আবার সাভার এরিয়ার বিভিন্ন ফার্মে পালনকৃত দুই হাজার ৫৫৮টি গরু থেকে প্রতিদিন গড়ে ২২ হাজার ২০০ লিটার দুধ পাওয়া যাচ্ছে।
এরপর সেনাপ্রধান সাভার ডিওএইচএস এলাকায় সেনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামফলক উন্মোচন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। শিক্ষার্থীদের জীবন গঠনে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন তিনি।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল ইসলাম, মেজর জেনারেল মো. মোশফেকুর রহমান, সামরিকসচিব ও মেজর জেনারেল খালেদ-আল-মামুন ও ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়ার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হকসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।