Friday , 1 November 2024
সংবাদ শিরোনাম

সামরিক-অসামরিক প্রশাসনকে একসাথে কাজ করতে হবে : সেনাপ্রধান

সামরিক ও অসামরিক প্রশাসনকে একসাথে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের প্রচলিত যে দায়িত্বগুলো পালন করে সেগুলো পালনের ক্ষেত্রে অসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি নিজেই এখানে এসেছি এটা ইনডিকেট করে যে আমি এটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা সোনার বাংলা গড়ার যে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগুচ্ছি, সেখানে সামরিক প্রশাসনের সাথে অসামরিক প্রশাসন যদি একসাথে কাজ না করে আমরা কিন্তু অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।

ডিসিদের কাছ থেকে কোনো প্রস্তাব এসেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্পেসেফিক প্রস্তাব বলতে সেরকম কোনো প্রস্তাব নেই। কিন্তু আমাদের যে সমস্ত সিভিল মিলিটারি রিলেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রগুলো আছে সেগুলো আমরা আলোচনা করেছি। কিছু কিছু প্রস্তাব আছে যেগুলো এখনই বললে প্রিম্যাচুরড হয়ে যাবে। আমরা আরো একটু আলোচনা করে দেখব, তারপর ওটাকে বাস্তবায়ন করা যাবে।’

কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পক্ষ থেকে যেকোনো কাজ একসাথে করার জন্য একটা পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালো পরিবেশের জন্য ভালো সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমি ফোকাস করেছি যেন আমাদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি হয়। যতো কমিউনিকেশন হবে তবে কমিউনিকেশন গ্যাপ কম হবে। কমিউনিকেশন গ্যাপ যতো কম হবে ততো আমাদের কাজ করার সুবিধা হবে। এই কথাটা অন্যান্য বক্তব্যের সাথে এটাও বলেছি।’

নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা যে ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করি তার মধ্যে প্রথম আমাদের দায়িত্ব হলো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পাশাপাশি ইন এইড সিভিল পাওয়ার আমরা নেশন বিল্ডিং একটিভিটিজ করি। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট করি। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা ল’ ইনফোরমেন্টের সহায়তা করি। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামেও একটা বিশেষ ধরনের দায়িত্ব পালন করছি। আমরা এফডিএমএন ক্যাম্পে কক্সবাজারে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের কনস্টিটিউশনের মধ্যে থেকেই আমরা বিদেশেও দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বড় সংখ্যক সেনাবাহিনী কাজ করে। দেশের জন্য অনেক বিদেশি মুদ্রা নিয়ে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বে এক নম্বর শান্তিরক্ষা প্রেরণকারী দেশ হিসেবে জাতিসঙ্ঘে স্বীকৃত হয়েছে। এ সমস্ত কর্মকাণ্ড করার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি অসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সেনাপ্রধান বলেন, অসামরিক প্রশাসন যখনই মনে করবে যে সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবে, আমরা তখনই তাদের ডাকে সাড়া দেবো এবং অবশ্যই তাদের পাশে বসে আমাদের দায়িত্ব পালন করব।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top