বাগমারা (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আসন্ন পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আচারণবিধি লঙ্ঘনের কারনে নৌকার প্রার্থীর অফিসসহ অনেক প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ইউএনওর অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে ঝিকরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।
বুধবার(২৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় বিক্ষোভ পথসভা মিছিল করেন ঝিকরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা বাজারের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন করে ঝিকরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ পথসভা ঝিকরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও -সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক প্রামানিকের পরিচালনায় পথসভায় উপস্তিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার মাঝি আব্দুল হামিদ ফৌজদার, বাগমারা উপজেলা আ,লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজ উর্দ্দিন সুরুজ, বাগমারা উপজেলা আ,লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঝিকরা ইউনিয়ন আ,লীগের সাবেক সভাপতি মাষ্টার আবু বক্কর সির্দ্দিক, বাগমারা উপজেলা যুবলীগের -সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল মাষ্টার, সহ- সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, সাংগাঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ মোসারফ হোসেন ও -সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আঃ সামাদ প্রামানিক,সহ- ঝিকরা ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও -সাধারণ সম্পাদক স্থাণীয় নেতৃবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, কোন নোটিশ ছাড়াই মঙ্গলবার (২৮ ডিসম্বর) বেলা ১১ টার পর নির্বাচনী অফিস উচ্ছেদে নামে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান। এসময় বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে উল্লাস প্রকাশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননা স্বাধীনতার প্রতিক নৌকা ভেঙ্গে পদদলিত করা হয়। আমরা চাই এই ইউএনও অপসারণ।
উল্লেখ, মঙ্গলাবার বেলা ১১টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানা পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অভিযানে নরদাশ ইউনিয়নের মাদিলা মোড়ে নৌকার একটি বাসুপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রাথীর একটি এবং গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিভিন্ন স্থানে ৩টি নির্বাচনী অফিস গুড়িয়ে দেয়া হয়। সেই সাথে অফিসে থাকা নৌকার ব্যানার পোস্টার খুলে ফেলা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচনী নিদের্শনা অনুযায়ী প্রতি চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩টি, সাধারণ সদস্য এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা ১টি করে নির্বাচনী অফিস করে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। কাগজে কলমে এমন নিদের্শনা থাকলেও দেশের কোথায় এমন নিয়ম মানার প্রবণতা নেই। সেই নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ অফিস ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।