বিদ্যমান সকল আইন পর্যালোচনা করে যৌন হয়রানি ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে নতুন কোনো আইন প্রণয়নের দরকার আছে কী না সে সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন চেয়েছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে যৌন হয়রানি রোধে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে যৌন হয়রানি বন্ধে ২০১১ সালে হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া আদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেল্পমেন্টের (বিপিএডি) সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার।
বৈঠকে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, শামসুল হক টুকু, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, রুমিন ফারহানা, সেলিম আলতাফ জর্জ ও খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন অংশ নেন। এছাড়া বিশেষ আমন্ত্রণে বিপিএডি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, আ স ম ফিরোজ, আ ফ ম রুহুল হক, হাবিবে মিল্লাত, শিরিন আক্তার, নাহিদ ইজাহার খান, আদিবা আনজুম মিতা, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ও শামীমা আক্তার খানম।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ ২০১১ সালে যৌন হয়রানি বন্ধে সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে যৌন হয়রানি রোধে বিদ্যমান আইনের পাশাপাশি নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তার আছে কী না সে ব্যাপারে আরো যাচাই বাছাই করে মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কারণ বিদ্যমান অনেক আইনে যৌন হয়রানি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সেসবগুলো দেখে নতুন আইনের দরকার আছে কী না সে বিষয়ে একটি কম্প্রিহেনসিভ রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বৈঠকে যৌন হয়রানি বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে নানান কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে সংসদীয় কমিটির সভাপতি আরো জানান, যৌন হয়রানি ও সহিংসতা বন্ধে সচেতনতা একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে একটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।