যুক্তরাষ্ট্র সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইর্য়কের জেএফকে বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন। তাঁর এ সফরকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি। অবশ্য কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ খুবই সীমিত করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় লাগডিয়াস্থ ম্যারিয়ট হোটেলে ভার্চুয়াল সমাবেশ, বিমানবন্দরে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা এবং জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালে তাকে সমর্থন জানিয়ে শান্তি সমাবেশ।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোও প্রধানমন্ত্রীর এ সফর সর্বাত্বক সাফল্য মণ্ডিত করতে ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণা, জনসংযোগ এবং টাউন হল মিটিংসহ ব্যাপক কার্যক্রম চালাচ্ছে। নিউইয়র্কের কর্মসূচি শেষে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ওয়াশিংটনে যাওয়ার কথা রয়েছে। পরে সেখান থেকে ১ অক্টাবর লন্ডন হয়ে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি দেয়ার দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঘোষণা করা হতে পারে নতুন কমিটিও। ফলে দলের নেতাকর্মীরাও কিছুটা উদ্বেগে রয়েছে। কমিটিতে কে কে আসতে পারেন তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, সভাপতি পদপ্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ডাক্তার মাসুদ ও ড. নুরান নবী। এদের মধ্যে অবশ্য বর্তমান সভাপতিই এগিয়ে রয়েছে বলে কারো কারো ধারণা।
সভাপতি পদে পরিবর্তন না হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে এবার পরিবর্তনের সম্ভাবনা শতভাগ বলেই শোনা যাচ্ছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের একটা বিশাল অংশ সিলেট জেলার। দেশ, জাতি ও দলের যেকোনো সংকটে সিলেটিরা সবসময় দলের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করে আসছেন। তাছাড়া প্রবাসীদের মধ্যে সিলেটিরা রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয়। এসব বিবেচনায় বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাছিব মামুনের নাম চলে আসে সবার আগে। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে নিরলসভাবে দলের জন্য কাজ করছেন তিনি।
বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় প্রধানমন্ত্রীর কারামুক্তি আন্দোলন, প্রবাসে বিএনপি-জামায়াত জোট বিরোধী আন্দোলন এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় জ্যাকব মিল্টন, সাফাদী ও সিজার গংদের মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। তাছাড়া সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনে নিষ্টা ও সততার সঙ্গে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে সিলেটবাসীর কাছে মামুনের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
মামুন ছাড়াও এই পদের জন্য আব্দুর রহিম বাদশা, হাজী এনাম, কাজী কয়েছ গোলাম রব্বানী প্রমুখদের নামও শোনা যাচ্ছে। প্রার্থীদের সবাই নিজেদের জায়গা থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষা।