রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। রিটে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির পক্ষ থেকে রিট আবেদনটি করা হয়। আজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আবেদনটির শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান জানান।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে জরুরি কোনো আবেদন থাকলে তা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠাতে হয়। যে কারণে শনিবার রাতে রেজিস্ট্রার জেনারেলের ই-মেইলে রিট আবেদনটি পাঠানো হয়েছে।
এই আইনজীবী জানান, শুনানিতে তিনি ছাড়াও আইনজীবী অনীক আর হক, সারা হোসেন ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান থাকবেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশের মহাপরিদর্শক,রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ), নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার,রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি, সিভিল সার্জন, ফায়ার সার্ভিস, হাসেম ফুডস লিমিটেড এবং হাসেম ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহত শ্রমিকদের প্রত্যেককে ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ হিসাবে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ এবং আহতদের ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে। এছাড়া রিট আবেদনে হাসেম ফুড লিমিটেড ও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হাসেম এবং তার পারিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাব চিহ্নিত করে তা জব্দ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা ও চিকিৎসা খরচ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে হাই কোর্টে আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে নারায়ণগেঞ্জের সিভিল সার্জনের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।