সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। তবে সালাউদ্দিন পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও মানিকের লড়াইটা একার। নির্বাচন সামনে রেখে কয়েকদিন আগেই ইশতেহার ঘোষণা করেন সালাউদ্দিন। ৩৬ দফার সেই ইশতেহারে রয়েছে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ২১ দফার ইশতেহার ঘোষণা করলেন মানিক। সভাপতি পদে মনোনয়ন কেনা আরেক প্রার্থী বাদল রায় অবশ্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আগেই।
আগামী ৩রা অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচন করছেন। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।
এরপর ২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচনে সভাপতি পদে এক সাংসদের সঙ্গে লড়তে হয়েছিল তাকে। এবার প্রথমে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েও শারীরিক কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক সাবেক তারকা বাদল রায়। বাদল রায় নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে দাঁড়ালেও লড়াইয়ে থাকছেন শফিকুল ইসলাম মানিক। ২১ দফা ইশতেহারও দিয়েছেন বর্তমানে শেখ জামালের দায়িত্বে থাকা এই কোচ।
মানিক তার ইশতেহারে তৃণমূলের ফুটবলকে প্রাধান্য দিয়েছেন। জেলা ফুটবল ও ঢাকার সবচেয়ে জুনিয়র স্তরের ফুটবল পাইওনিয়ার লীগ থেকে প্রিমিয়ার পর্যন্ত লীগ টুর্নামেন্টকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়মিত আয়োজন করার কথা বলেছেন। তার ইশতেহারে জাতীয় পর্যায়ে শেখ জামালের নামে প্রতি বছর অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের বাস্তবায়নযোগ্য ক্যালেন্ডার কঠোরভাবে মেনে চলারও ঘোষণা আছে তার ইশতেহারে। একই সঙ্গে ভিশন ২০৩৩ ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ। তার ভিশন ২০৩৩- এ আছে অলিম্পিক উপযোগি একটি যুব দল তৈরি করা। যারা এক সময়ে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
জাতীয় দল নিয়েও ভাবনা আছে মানিকের ইশতেহারে। তিনি নির্বাচিত হলে জাতীয় দলের ফুটবলারদের বেতন কাঠামো ও ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থা করতে চান। এ ছাড়াও যেকোনো ধরনের আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলেছেন তিনি। তিনি নির্বাচিত হলে ঘরোয়া ফুটবলের ‘ক্যানসার’ পাতানো খেলা চিরতরে বন্ধ করারও ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রয়েছে তার ২১ দফা ইশতেহারে।