তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের বিদায়ী সৌজন্য সাক্ষাত শেষে ব্রিফিং-এ তিনি একথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহুমাত্রিক। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হলে দুই দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হয়। সীমান্ত সমস্যা ও ছিটমহল বিনিময়ের মতো দীর্ঘকালীন সমস্যার সমাধান তারই উদাহরণ। রীভা গাঙ্গুলির বাংলাদেশে কর্মকালের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,রীভা গাঙ্গুলি দাস বাংলাদেশে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কূটনীতিক দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে। ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় দেশের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন, বিআরটিসি’র জন্য বাস ও ট্রাক এবং সড়ক উন্নয়নে যন্ত্রপাতি সংগ্রহে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একুশ বছর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে কৃত্রিম দেয়াল ছিল তা এখন আর নেই। দু’দেশের সরকার এবং জনগণের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত উদার এবং ভবিষ্যতমুখী।
সাক্ষাতকালে দেশের সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় গৃহিত প্রকল্পসমূহ এগিয়ে নিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার জন্য হাইকমিশনার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। দেশের সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে। তিনি বাংলাদেশকে অনেক মিস করবেন বলেও জানান।