মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের উদ্দেশ্যে যারা দেশের বাইরে যাননি, দেশেই প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা। তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপনের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্তির পদক্ষেপ নিতে বলেছেন উচ্চ আদালত।
আজ এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিকালে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট মোহাম্মদ আহসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল।
এডভোকেট মোহাম্মদ আহসান সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যে যারা দেশের বাইরে যাননি, দেশে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ও যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদেরকে ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপনের সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভূক্তির জন্য পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘কাদেরিয়া বাহিনীর ২৬ সদস্যের রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত টাঙ্গাইলের জেলা কমিটি সখীপুর উপজেলার ২৯৫ জনের নাম সুপারিশ করে ২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০১৬ সালে সখীপুরের এ কে এম ফজলুল করিম, কুতুব উদ্দিন আহমেদসহ ২৬ জন ২০১৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। মুক্তিযুদ্ধে তারা সবাই ‘কাদেরিয়া বাহিনী’র সদস্য ছিলেন। রিটের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৫ই ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের নামের গেজেট কেন প্রকাশ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।