লেবাননের শিয়াপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সর্বোচ্চ নেতাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ইসরাইল ও আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া ইস্যুতে আলোচনা করতেই একত্র হয় ইরানপন্থী সংগঠন দুটির নেতারা। লেবাননে রয়েছে ফিলিস্তিনিদের সবথেকে বড় শরনার্থী শিবির। সেখানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে আইন আল-হেলোয়েহ উপাধি প্রদান করা হয়। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
হামাস নেতার সঙ্গে বৈঠকের কথা প্রচার করা হয়েছে হেজবুল্লাহ পরিচালিত আল-মানার টিভি চ্যানেলে। এতে দেখা যায় হেজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ ও হামাস প্রধান হানিয়া আলোচনা করছেন। উভয় নেতা ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলকে যেভাবে মেনে নিচ্ছে এর ভয়াবহতা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে আল-মানার। ইরানের হুমকি মোকাবেলায় ইসরাইলকে কাছে টানতে শুরু করেছে আরব রাষ্ট্রগুলো। অভিন্ন শত্রুকে মোকাবেলায় ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া দ্রুত করছে দেশগুলো। গত ১৩ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদন করে। এরমধ্য দিয়ে দেশটির সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে আরব আমিরাত। দুই দেশের মধ্যে চালু হয়েছে বিমান চলাচল। গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় থেকে নিরাপত্তা ইস্যুতেও চুক্তির কথা চলছে। ইসরাইলের জন্য আকাশসীমা খুলে দিয়েছে সৌদি আরব ও বাহরাইনও।
এদিকে আরব আমিরাতের এমন পদক্ষেপকে মুসলিমদের পেছন থেকে ছুড়ি মারার সঙ্গে তুলনা করেছে ইরান। ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক ইরানপন্থী সংগঠন। হামাস ও হেজবুল্লাহকে রকেট ও মিসাইল সরবরাহ করে ইরান। অপরদিকে সংগঠন দুটিকে নিজের জন্য সবথেকে বড় হুমকি মনে করে ইসরাইল। আবার ইয়েমেনে ইরানপন্থী সংগঠন হুতি লড়ছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে। ফলে ইরানকে অভিন্ন শত্রু মনে করে আরব রাষ্ট্রগুলো ও ইসরাইল।