গণপরিবহন চলাচলে সরকারি নির্দেশনা না মানা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গণপরিবহনে ভ্রমণকালে যাত্রীসহ পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। যতো আসন ততো যাত্রী অর্থাৎ দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। সাবান পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে পর্যাপ্ত। প্রতিটি বাসে সরকার অনুমোদিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শনের বিধান রয়েছে। এ বিধান কার্যকর করতে আমি বিআরটিএ ও মালিক সমিতিকে অনুরোধ করছি। মঙ্গলবার ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, তিনি বলেন, আজ থেকে গণপরিবহন করোনাকালের জন্য সমন্বয় করা ভাড়ার পরিবর্তে আগের ভাড়ায় ফিরছে। জনস্বার্থে এবং যাত্রীদের স্বার্থে আমি সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকসহ সকল স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতা কামনা করছি।মন্ত্রী বলেন, ট্রিপের শুরু এবং শেষে পরিবহনকে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সারাদেশে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি জনস্বার্থে এ নিয়ম বা শর্ত মেনে বাস-মিনিবাস চালানোর অনুরোধ করছি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে ডিএমপি, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সক্রিয় থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। অনেক পরিবহন নিয়ম মেনে গাড়ি চালায়।
এর আগে গত ৩১শে মে সরকার আন্তঃজেলা বাস পরিষেবাসহ সব বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মোট আসনের অর্ধেক যাত্রীকে নিয়ে যানবাহন চলাচলের শর্ত হিসেবে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দেখা যায়, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ভাড়াও নেয়া হচ্ছে বর্ধিত হারে। এজন্য বিভিন্ন সংগঠন থেকে বর্ধিত ভাড়া বাতিলের দাবি ওঠে।
গত শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ১লা সেপ্টেম্বর থেকে গণপরিবহন আগের ভাড়ায় ফিরে যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত সংশ্লিষ্টদের প্রতিপালন করতে হবে মন্তব্য করে কাদের বলেন, গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, চালকের সহকারী, টিকিট বিক্রয়কারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
‘গণপরিবহন চলাচলে নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা’
Share!