২৯শে অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি মিলবে সাকিব আল হাসানের। তারপরই তিনি ফিরতে পারবেন টাইগার শিবিরে। যাবেন শ্রীলঙ্কা সফরেও। তবে তার আগে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরতে হবে। পরিবার ও কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি দেশে ফিরবেন আগামীকাল। যদিও তার ফেরার দিনক্ষণ নিশ্চিত করতে পারেননি বিসিবি’র তরফে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার দায়িত্বে থাকা ওয়াসিম খান। তিনি বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ২রা আগস্টের পরে ফিরতে পারেন তিনি।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তো বলেই দিয়েছেন সাকিবের জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন তারা।
অন্যদিকে অপেক্ষায় সাকিবের ক্রিকেটার হিসেবে গড়ার কারিগর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও (বিকেএসপি)। কারণ তাদের বিশ্বজয়ী ছাত্র এবার লম্বা সময় কাটাবেন সেখানেই। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশীদুল হাসান দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘সাকিব আল হাসান অনেক দিন খেলায় ছিলেন না। তিনি আমাদের জানিয়েছেন এখানে অনুশীলন করতে চান। তার পুরনো কোচরাও আছেন। আর বিকেএসপি করোনার সময়টাতে সবচেয়ে নিরাপদ। এখানে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারে না। আমরাও চেয়েছি আমাদের প্রতিষ্ঠানের ছাত্র এখান থেকেই আবার নিজেকে সাজিয়ে ক্রিকেটে ফিরে আসুক। সেজন্যই বিকেএসপি তাকে সব রকম সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’
বিকেএসপিতে কেটেছে সাকিব আল হাসানের লম্বা সময়। এখান থেকেই তিনি শিখেছেন ক্রিকেটের অ, আ, ক, খ। বিকেএসপির নতুন প্রজন্মের কাছে সাকিব আল হাসান অনুপ্রেরণার নাম। কিন্তু জুয়াড়ির প্রস্তাব তিনি নিয়ম অনুসারে জানাননি আইসিসি বা বিসিবিকে। সে কারণেই আইসিসি তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে (এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা)। তাই সাকিবের ভুল থেকে যেন তরুণ ক্রিকেটাররাও শিক্ষা নিতে পারে সেজন্য বিকেএসপির পক্ষ থেকে সেমিনার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক। তিনি বলেন ‘সাকিবের দেশে ও বাইরে খেলা থাকায় অতীতে বিকেএসপিতে তেমন সময় দিতে পারেনি। এবার তাকে আমরা পাচ্ছি। এখানকার সার্বিক উন্নয়নে কি করলে ভালো হয় সে মতামত আমরা তার কাছ থেকে নেবো। এ ছাড়াও তার জীবনে সাফল্যের গল্প যেন এখনকার ক্রিকেটাররা শুনতে পারে সে চিন্তা আমাদের অনেক দিনের। শুধু সাফল্য নয়, যে ভুলটা হয়েছে সেটি যেন বিকেএসপির এই প্রজন্মের ক্রিকেটাররা শুনে শিক্ষা নিতে পারে সেটি আমরা চাই। আমরা চেষ্টা করবো একটি সেমিনার আয়োজনের। যদি তার থাকার সময়টাতে বিকেএসপির শিক্ষার্থীরা চলে আসে তাহলে এমন কিছু আয়োজন করার চেষ্টা করবো।’
নিষেধাজ্ঞা ওঠার আগ পর্যন্ত সাকিব নিজেকে মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুত করবেন বিকেএসপিতে। সেখানে তার সাবেক দুই গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন তাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলেই জানা গেছে। বিকেএসপির মহাপরিচালক বলেন, ‘কিছুদিন আগে সাকিব আমাকে ফোন করে এখানে অনুশীলনের আগ্রহের কথা জানায়। যেহেতু এখানকার পরিবেশ খুব ভালো। আমরা তাকে বলেছি করতে। সে জানিয়েছে বিকেএসপিতে অনুশীলন শুরুর অন্তত এক সপ্তাহ আগে আমাদের জানাবে।’
করোনা বিরতি ভেঙে টাইগারদের ক্রিকেট ফিরছে অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফরে। তবে এক মাস আগেই বাংলাদেশ দল দেশ ছাড়বে। তবে নিষেধাজ্ঞা ওঠার আগে দলে থাকার সুযোগ নেই সাকিবের। ২৩শে অক্টোবর শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এর ৬ দিন পর তার নিষেধাজ্ঞা উঠবে। যদি সাকিব প্রস্তুত থাকেন তাহলে দ্বিতীয় টেস্টে দলে ফিরতে পারেন তিনি।