Friday , 1 November 2024
সংবাদ শিরোনাম

ত্রাণের যেন কোনো ঘাটতি না হয়: প্রধানমন্ত্রী

দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বন্যায় মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, ত্রাণের যেন কোনো ঘাটতি না হয়। মানুষের জীবন-জীবিকা ও খাওয়া-দাওয়ার যেন কোনো অসুবিধা না হয়।

সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনোভাবেই মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয় এবং রিলিফের যেন কোনো ঘাটতি না হয়। বিশেষ করে নিচু এলাকা এবং চরে যারা থাকেন, তারা বাঁধের দিকে বা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসেন, স্কুলে চলে আসেন। সেখানে যেন তাদের জীবন বা খাবারের অসুবিধা না হয়। (আশ্রয়কেন্দ্রে) টয়লেট ফ্যাসিলিটি, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট যেন থাকে।”

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে যারা কাজ করেন, মানুষের পাশে তাদের থাকতে হবে।

চলতি মৌসুমে তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই দফা বন্যার মুখোমুখি হয়েছে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল। ১৮ জেলার নিম্নাঞ্চলে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসন থেকে ত্রাণ সামগ্রীর চাহিদা পাঠানোর আগেই বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় সরকারের তরফ থেকে বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।

গত ৪ জুলাই থেকে কয়েক ধাপে বন্যা, নদীভাঙন, পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা হিসেবে দিতে সারা দেশে ১৫ হাজার ২০০ মেট্রিকটন চাল, তিন কোটি ৩৯ লাখ নগদ টাকা এবং ৬২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

এছাড়া শিশু খাদ্য কিনতে ৫০ লাখ টাকা, গো-খাদ্য কিনতে ৫০ লাখ টাকা, ১০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ঘর মেরাতমতের জন্য আরও তিন লাখ টাকা রবাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা আজকে দেখলাম পদ্মার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্পিডটা অনেক বেশি… পানির সঙ্গে পলি মাটি রয়েছে। উপর থেকে পানি এখন ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামছে। মন্ত্রিসভায় অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে যে, রিলিফ অপারেশন, রেসকিউ অপারেশন- এগুলো কীভাবে হচ্ছে, এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, এখন মূলত যমুনা ও পদ্মা হয়ে পানি আসছে। সুনামগঞ্জ-সিলেটে মেঘনার পানি ছিল ঢলের মত, ৬-৭ দিনে নেমে গেছে। জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়ে প্রস্তুত আছে। আমরাও এটা রেগুলার মনিটর করছি।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top