বাগমারা ( রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ আগামী ৮ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ঘিরে এরই মধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর প্রতিটি উপজেলা। সম্মেলন কে ঘিরে জেগে উঠেছে রাজশাহীর তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে এমন ইঙ্গিত রয়েছে দলীয় হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনা পাওয়ায় বাগমারা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যান্ড জাকিরুল ইসলাম (সান্টু) তার মতো অনেক নেতাকর্মী দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমনই একজন হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বাগমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাডঃ জাকিরুল ইসলাম (সান্টু)। ছাত্র-জীবন থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক মুল্যবোধে বিশ্বাসী এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ তিনি। আওয়ামীলীগের দৃঃসময়ে রাজপথ কাঁপিয়ে বাংলা ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন তিনি। জানা গেছে,ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা হিসেবে কারাগারে জেল খেটেছেন। কারাগারে থাকাকালীন সময়ে দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে তার জন্য শীতবস্ত্র পাঠিয়েছেন। সান্টুর রয়েছে বর্নাঢ্য ও সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবন। তিনি ১৯৭৯ সালে বাগমারা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ১৯৮৩ সালে শাহমখদুম কলেজ ছাত্রলীগের -সভাপতি ১৯৮৫ সালে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের -সভাপতি ১৯৮৬ সালে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ১৯৮৯ ও ১৯৯১ সালে দুইবার রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের -সভাপতি। ১৯৯১ সালে বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ছাত্র-জীবন থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ বিশ্বাসী এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ তিনি। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে রাজপথ কাঁপিয়ে বাংলা ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন তিনি। আরো জানা গেছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা হিসেবে বহ বার কারাগারে জেল খেটেছেন। এ ছাড়াও তিনি ১৯৯২, ১৯৯৬,২০০৫,ও ২০১৩ সালে পর পর চারবার বাগমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাজনীতি ও জনসেবায় অনন্য অবদান রাখায় বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সান্টু। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষায় অবদান রাখায় বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পরিবার পরিকল্পনা মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। আওয়ামীলীগ সহ- এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে তার রয়েছে সান্টুর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। বিভিন্ন সময়ে জঙ্গিবাদ মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করে চলেছেন তিনি সরকার ও আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেছেন। প্রতিষ্টা করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান ও সামাজিক সংগঠন ও সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক দক্ষ সান্টুকে নিয়ে আশাবাদী তার সমর্থক ও তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যেই তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা প্রচারনা। বাগমারা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিল মাষ্টার ও ঝিকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আঃ সামাদ প্রাং ও ঝিকরা ইউনিয়ন যুবলীগের -সভাপতি মোঃ মোসারফ হোসেন ও ঝিকরা ইউনিয়নের ঝাড়গ্রাম এর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও বড়বিহানালী ইউনিয়নের কহিতপাড়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ইসাহাক আলী বলেন.আলহাজ্ব এ্যাডঃ মোঃ জাকিরুল ইসলাম সান্টু দলের স্বার্থে নিরলস ভাবে বিভিন্ন সময়ে কাজ করে গেছেন। সরকারী বিভিন্ন চাকুরী পেলে ও দেশ ও জনসেবার স্বার্থে সেগুলো ত্যাগ করেছেন। এমন ব্যক্তি নির্বাচিত হলে দেশ ও দলের স্বার্থে কাজ করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। সেই সাথে তিনি কখনও প্রতিহিংসার রাজনীতি পছন্দ করেন না। এ ব্যাপারে কথা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রাথী আলহাজ্ব এ্যাডঃ জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন. আমি ৭ম শ্রেনীর ছাত্র থাকাকালীন সময় থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে জনসেবার লক্ষ্যে রাজনীতিতে যুক্ত হই। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একজন ক্ষুদ্র সৈনিক হিসেবে কাজ করে চলেছি। রাজনীতির বড় পরিসরে সুযোগ পেলে নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করবো।
জেলা আ.লীগের সম্মেলনে সম্পাদক প্রাথী বাগমারার সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু।
Share!