ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, রাষ্ট্র হিসেবে তিনি ইসরাইলের বিলোপ চান, তবে ইহুদি জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে চান না। তেহরান চায়, মধ্যপ্রাচ্যের ওই ভূখণ্ডে বসবাসকারী খ্রিস্টান-মুসলিম ও ইহুদিরা সবাই মিলে সেখানকার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে অস্বীকার করে আসছে ইরান। ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের পক্ষে তেহরানের অবস্থান স্পষ্ট। অন্যদিকে ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রধান শত্রু হিসেবে দেখে তেল আবিব। গত শুক্রবার তেহরানে এক সম্মেলনে খামেনি বলেন, ‘ইসরাইল রাষ্ট্রের বিলোপ চাওয়া মানে ইহুদি জনগণের বিলোপ চাওয়া নয়। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। ওই ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে সেখানকার খ্রিস্টান, মুলসিম ও ইহুদিসহ সমস্ত ফিলিস্তিনি জনগণের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মালিক হচ্ছে সেখানকার প্রকৃত অধিবাসী, তাদের ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক না কেন। প্রকৃত অধিবাসীদের অধিকার রয়েছে ফিলিস্তিনের সরকার নির্বাচন করার এবং নেতানিয়াহুর মতো বহিরাগতকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়ে দেশ পরিচালনা করার।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, কোনো ধরনের কুণ্ঠা ছাড়াই অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে তেহরান। অন্য মুসলিম দেশগুলোরও উচিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়া।