Friday , 1 November 2024
সংবাদ শিরোনাম

৯১ নির্যাতিতা নারীসহ শুক্রবার দেশে ফিরছেন সেই সুমি

অবশেষে শুক্রবার সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরছেন নির্যাতিত নারীকর্মী সুমি আক্তার। একই সঙ্গে সৌদি থেকে দেশে ফিরছেন নির্যাতিত আরও ৯১ নারী গৃহকর্মী।

শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টায় এয়ার অ্যারাবিয়া’র G9-517 বিমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন সুমি।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি সৌদির শ্রম আদালত সে দেশ ছাড়ার ব্যাপারে সুমির পক্ষে রায় দেন। ফলে তাকে তার নিয়োগকর্তার দাবি করা টাকা দিতে হবে না।

এদিকে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, সুমি শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন। সৌদি আদালতের আদেশে দেশে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করা ২২ হাজার সৌদি রিয়েল তিনি এখনই পাচ্ছেন না। এটা একটা অনগোয়িং প্রসেস। তাকে আপাতত দেশে পাঠানো হচ্ছে। পরে আইনকানুন দেখে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একই ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে আরও ১০০ নারী বাংলাদেশে ফেরত যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত জানান, গত চার বছরে বাংলাদেশ থেকে তিন লাখ নারী শ্রমিক সৌদি আরবে গেছেন। তাদের মধ্যে ১৩ হাজার দেশে ফিরেছেন। ফিরে যাওয়া নারীশ্রমিকদের হার অনেক কম। সবাই যে নির্যাতনের কারণে ফিরে গেছেন, তাও নয়। তবে কিছু কিছু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।

আগামীতে এরকম অভিযোগ পেলে দূতাবাস সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।

সম্প্রতি ফেসবুকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া পাশবিক নির্যাতনের কথা বলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান সুমি। পরবর্তী ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে সুমি বলেন, ‘ওরা আমারে মাইরা ফালাইব, আমারে দেশে ফিরাইয়া নিয়া যান। আমি আমার সন্তান ও পরিবারের কাছে ফিরতে চাই। আমাকে আমার পরিবারের কাছে নিয়ে যান। আর কিছু দিন থাকলে আমি মরে যাব।’

আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় নুরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, চলিত বছরের জানুয়ারিতে গৃহকর্মীর ট্রেনিং শেষ করেন সুমি।

এরপর গত ৩০ মে ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’ নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স (এসভি) ৮০৫ যোগে সৌদি যান সুমি। সেখানে যাওয়ার পর সবসময় স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ওপর বয়ে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা দেন।

এ ব্যাপারে সুমির স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, সৌদিতে যাওয়ার পর পরই তার ওপর নানাভাবে নির্যাতন চলে। আমার সঙ্গে মাঝে যোগাযোগ করতে দেইনি। এর পর যখনই আমার সঙ্গে কথা হয় তখনই সুমি বাড়ি আসতে চায়। সে আর সৌদিতে থাকতে চায় না।

তিনি বলেন, আমি গত ১১ অক্টোবর পল্টন থানায় ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’-এর মালিক আক্তার হোসেনের নামে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছি। এ ছাড়া ন্যায়বিচারের জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান রফতানি ব্যুরোর মহাপরিচালকের দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top