Friday , 1 November 2024
সংবাদ শিরোনাম

আজাদ কাশ্মীরে হামলা: সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে বিদেশি কূটনৈতিকরা

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের নীলম উপত্যকার চারটি সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছ ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তবে চিরবৈরী প্রতিবেশীর এমন দাবি প্রত্যখ্যান করেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছে পাকিস্তানে থাকা বিদেশি কূটনৈতিকরা। তারা সেখানে এমন কোনো আলামত পাননি বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।

মঙ্গলবার টুইট বার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সাল আরও বলেন, রোববার সকালে আজাদ-কাশ্মীরের নীলম উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলায় চারটি সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করা ঘটনাস্থল বিদেশি কূটনৈতিকদের একটি দল প্রথম সাক্ষী হিসেবে পরিদর্শনে গিয়েছে।

পাকিস্তানের ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম ডন জানায়, কূটনৈকিতকদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখার (লক) কাছে নওসারি, শাহকোট এবং জুরা সেক্টরে নেয়া হয়। নওসাদা গ্রামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আক্রমণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপিন রাওয়াতের দাবির কারণে বিদেশি কূটনৈতিকদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আয়োজন করা হয় বলে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

ওই এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ও কূটনৈতিকদের নিয়ে আইএসপিআরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর আর্টিলারি শেলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কূটনৈতিকরা।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ভারত ৩ হাজার ৩৮ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং ৫৮ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। এছাড়া ৩১৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ২০১৯ সালে দুই হাজার ৬শ আটবার ভারত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে ৪৪ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মধ্যে পার্থক্য হল, পাকিস্তান শুধু ভারতীয় পোস্টগুলো টার্গেট করে।

তিনি বলেন, বিদেশি কূটনৈতিকরা জুরা বাজারের দোকান মালিক ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভারতের হামলায় দোকান ও বাসাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, সব নির্দোষ লোকজন ভারতের হামলার টার্গেট।

ড. ফয়সাল বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় হাইকমিশনের কোনো প্রতিনিধি দল আজকের সফরে যোগদান করেননি।

জেনারেল গফুর বলেন, কোনো বিদেশি কূটনৈতিক/মিডিয়া হামলার সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি। তিনি ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি না থাকা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, হাইকমিশন কি ভালো? কেনো সেনাবাহিনীর প্রধানের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি?

পাক আইএসপিআর প্রধান বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী মিথ্যা দাবির পক্ষে ভারত কোনো হেতু উপস্থাপন করতে পারেনি।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top