বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলেন সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষাথী মীম আরা মীম (১৩) ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়নের খালিশপুর গ্রামে। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার ৪নং বড়বিহানালী ইউনিয়নের খালিশপুর গ্রামের প্রবাসী হাসান আলীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার কালুপাড়া এলাকার জনৈক ব্যক্তির সাথে বিয়ের দিন ধায্য হয়। দিন তারিখ মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের অথিতিরা আসতে শুরু করেন। এমন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানতে পারেন। বিষয়টি জানার পর পরই তিনি বিয়ে বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা একে এম ওয়াহিদুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান এবং বিয়ে বন্ধ করেন। এ সময় তিনি মেয়ের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুসলেকা নিয়ে চলে আসেন। নাবালিকা মীম আরা মীম বড়বিহানালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষাথী বলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা একে এম ওয়াহিদুজ্জামান জানান। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন বিষয়টি শোনার পর পরই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বন্ধ ও মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে মুসলেকা নেয়া হয়েছে। এর পরেও যদি ওই মেয়েকে বিয়ে তাহলে পরিবারসহ বিয়ের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ।
Share!