হাইপারসনিক ভ্রমণে আগ্রহীরা নড়েচড়ে বসতে পারেন। কারণ এবার আসছে রেকর্ড গতিতে ভ্রমণ করতে পারে এমন একটি বিমান। শব্দের গতির চেয়ে ৪ গুণ বেশি হবে এই বিমানের ছুটে চলার গতি। আর এতে ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক ভ্রমণ করতে আপনার সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা।
অর্থাৎ আপনার এখন যে সময় লাগে তার চেয়ে ৮০ শতাংশ কম। এই বিমানটিতে ব্যবহার করা হবে হাইপারসনিক রকেট ইঞ্জিন। যে রকেট শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত ছুটে। যুক্তরাজ্যের মহাকাশ সংস্থা গত মঙ্গলবার এক কনফারেন্সে এমনই এক ঘোষণা দিল। তবে এ কাজ তারা একা করবে না, সঙ্গী হিসেবে থাকছে অস্ট্রেলিয়ার মহাকাশ সংস্থা। দুই সংস্থার এই সম্মতি-চুক্তির নাম দেয়া হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ফার্স্ট স্পেস ব্রিজ।’
একটি যাত্রীবাহী বিমান এত দ্রুত ছুটতে হলে চাই ইঞ্জিনের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম হওয়া। বেশি শক্তি উৎপাদন করা। প্রকৌশলীরা এ জন্য ব্যবহার করবেন রকেটের গতি ও জেট ইঞ্জিনের শক্তি। এই দুইয়ে মিলে যে ইঞ্জিন হবে তার নাম সিনারজেটিক এয়ার ব্রেথিং রকেট ইঞ্জিন (ঝঅইজঊ)। একসঙ্গে হবে দ্রুতগতির শক্তিশালী ইঞ্জিন।
আর এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের মহাকাশ সংস্থার প্রধান গ্রাহাম টুর্নক জানান, ‘এই ইঞ্জিন ব্যবহারের ফলে বিমানটি যে শক্তি পাবে তাতে লন্ডন থেকে সুদূর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪ ঘণ্টা। আর লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে লাগবে মাত্র দেড় ঘণ্টা। আমরা তা ২০৩০ সাল নাগাদ চালু করতে চাই। এই প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে।’
এই ধরনের ভ্রমণকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হচ্ছে হাইপারসনিক ট্র্যাভেল। অর্থাৎ শব্দের চেয়েও অনেক দ্রুত ভ্রমণ। এই বিমান শব্দের গতির চেয়ে ৪ গুণ বেশি দ্রুত ছুটবে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরডোর ডেনভারে এই ইঞ্জিন ব্যবহার করে বিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। ২০২০ সাল নাগাদ এই পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন শুরু হবে এবং ২০৩০ সালে বাণিজ্যিকভাবে ফ্লাইট শুরু করার আশা কর্তৃপক্ষের।