সোমবার ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও খুলনায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা তিনজনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মিজানুর রহমান (৪০) নামে এক ব্যক্তি। সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে মারা যান তিনি।মিজানুর সবজি বিক্রেতা ছিলেন। তার বাড়ি রূপসা উপজেলার খাজাডাঙ্গা গ্রামে। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি।খুমেক হাসপাতালের আবাসিক ফিজিসিয়ান (আরপি) ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে খুলনায় মোট পাঁচজনের মৃত্যু হলো। মিজানুর রহমান গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) খুমেকের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, ময়মনসিংহে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুইজন। এঁদের নাম আনোয়ার (৪৬) ও রাসেল (৩৫)।আনোয়ার মারা যান গত মধ্যরাতে। তিনি গতকালই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহে মেডিক্যালে ভর্তি হন। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়। প্রায় একই সময় ওই হাসপাতালে মারা যান রাসেল। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায়।অন্যদিকে, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। মানিকগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৫০ এ দাঁড়িয়েছে। ফরিদপুর হাসপাতালে প্রতিদিনই নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন।এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪১৪ জন রোগী। কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। মেহেরপুরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০৮ জন রোগী। নড়াইলে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তি আছে ১১৯ জন ডেঙ্গু রোগী। এছাড়াও, পটুয়াখালীতে ২৮০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৫৩ হাজার ১৮২ জন। এর মধ্যে আগস্টের এই কদিনেই প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৭২১ জন। সরকারি হিসাবে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হলেও বেসরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩৫ জন।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত আরও তিনজনের মৃত্যু
Share!