অনলাইন রিপোর্টার ॥ ভিআইপি প্রটোকল বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ ভিআইপি নয়, বাকিরা সবাই রাষ্ট্রের কর্মচারী।
বুধবার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি না ছাড়ায় স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন।
বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
শুনানিতে আদালত আরও বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলাচল করতে দিতে হবে। এ ধরনের দুর্ঘটনা (শিক্ষার্থী তিতাসের মৃত্যু) যেন না ঘটে সে বিষয়ে আগামীতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ জুলাই রাতে সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডলের গাড়ির অপেক্ষায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি বসে থাকায় ঘাটে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে তিতাসের মৃত্যু নিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হয়। এসব সংবাদ সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন। রিটে অভিযোগ ওঠা যুগ্ম সচিব ও ফেরির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিটে তিতাসের মৃত্যু ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও তার পরিবারকে তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশনা চাওয়া হয় এবং ফেরিঘাটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল নিশ্চিত করতে নির্দেশনা চান রিটকারী আইনজীবী। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রিটে বিবাদী করা হয়। ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে সোমবার (২৯ জুলাই) তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।