Friday , 1 November 2024
সংবাদ শিরোনাম

মোদি,কাশ্মীরে মধ্যস্থতা চান, ট্রাম্পের দাবিতে উত্তাল ভারত

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে অনুরোধ করেছেন। ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘আমাকে দিয়ে যদি সত্যিই হয়, তা হলে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে আপত্তি নেই আমার।’ ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঝড় তুলেছে ভারতের ঘরোয়া রাজনীতিতে। সোমবার হোয়াইট হাউসে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর, ওভাল অফিসে ইমরানের পাশে বসেই ট্রাম্প মধ্যস্থতার কথা তোলেন। পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি দাবি করেন, ‘জাপানের ওসাকায় জি২০ সামিটে মোদীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তিনি জানতে চান, আমি মধ্যস্থতা করতে রাজি কি না। আমি প্রশ্ন করি, কোন বিষয়ে। তিনি বলেন, কাশ্মীর। কারণ, বিবাদটা অনেক দিন ধরে চলছে। আমি ওকে জানাই, মধ্যস্থতা করতে পারলে আমি খুশিই হব।’এরপরেই মোদি দেশের স্বার্থ ‘বলি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন’ বলে তোপ দাগেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। মঙ্গলবার, সেই ঝড় আছড়ে পড়ে সংসদেও। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিও তোলেন। ট্রাম্পের এই দাবি অবশ্য খারিজ করে দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। রাজ্যসভায় তিনি বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে এমন কোনও প্রস্তাবই দেওয়া হয়নি। ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ব্যাপক আলোড়ন সর্বত্র। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার টুইট, ‘এ বার কি তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মিথ্যেবাদী বলবে ভারত সরকার নাকি আড়ালে আবডালে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের ব্যাপারে তাদের অবস্থান বদলে গিয়েছে?

তবে ভারত যা-ই ভাবুক না কেন, পাক প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশিত ভাবেই সাদরে গ্রহণ করেছেন এই প্রস্তাব। ইমরান বলেন, ‘যদি আপনি সত্যিই মধ্যস্থতা করতে পারেন, তা হলে কাশ্মীরের কোটি কোটি বাসিন্দার শুভকামনা, প্রার্থনা ও শুভেচ্ছা আপনার জন্যই থাকবে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, ভারতও কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চায়। আপনিও চান। আমি যদি এতে মধ্যস্থতা করতে পারি, তা হলে সত্যি খুশি হব। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল। আপনাদের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েন রয়েছে। আমার মনে হয় আমরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলে সুষ্ঠু পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ‘কাশ্মীর বারবরই ভারত ও পাকিস্তান এই দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে দু’দেশ আলোচনা শুরু করলে স্বাগত জানাবে ট্রাম্প সরকার। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্যও করবে।’

কাশ্মীর বিবাদকে ভারত বরাবরই দ্বিপাক্ষিক সমস্যা বলে মনে করে। ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিতে কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলেই মেনে নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সেই চুক্তি এবং লাহৌর ঘোষণাপত্রই আলোচনার ভিত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করে ভারত।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top