বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বাগমারায় দূবৃর্ত্তদের দেওয়া আগুনে নূরুল ইসলাম নামে এক কৃষকের তিনটি গরু মারা গেছে ও একটি আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মধ্যেরাতে ঝিকরা ইউনিয়নের মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। এই ঘটনায় নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঝিকরা ইউপি,র সাবেক ইউপি -চেয়ারম্যান ও উপজেলা বি এনপি র যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান (রতন) ও ঝিকরা ইউপি আ লীগের -সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আ লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম -সহ ৮ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন বাগমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আতাউর রহমান। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চ্যাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। আসামীর আত্নীয় স্বজন ও আসামীরা বলছেন, স্থানীয় ভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল ও রাজনৈতিক উর্দ্দেশ্যে হাসিল করতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন ঝিকরা ইউপি আ,লীগের -সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আ,লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম (৫২) ও তার ছোট ভাই স্থানীয় ইউপি আ,লীগ নেতা আসাদুল ইসলাম (৪৮) ইউপি আ,লীগ নেতা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কাজেম উর্দ্দিনের পুত্র সৈয়দ আলী (৪০) ঝিকরা ইউপি,র সাবেক -চেয়ারম্যান ও উপজেলা বি এনপি, র যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান রতন (৫১), ইউনিয়ন বি এনপি,র -সভাপতি বিশিষ্ট বি এন পি এর নেতা প্রয়াত মরু হামিদের ছোট ভাই লুৎফর রহমান (৪৮) স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ইসমাইল হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ,লীগের নেত্রী স্বামী আতাউর রহমান ও তার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন (৫৫) পুলিশ আসামীদের বাড়ি বাড়ি গ্রেফতারের অভিযানের নামে পুরো গ্রামটি এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে কৃষক নূরুল ইসলাম প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গরুগুলো তার গোয়াল ঘরে তোলে তালা লাগিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে গুরু গুলো ছুটাছুটি ও আগুনের লেলিহান শিখা দেখে পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এ সময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম ভেঙ্গে গেলে তারা ছুটে প্রায় ঘন্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়নন্তে আনেন। পরে গোয়াল ঘরে গিয়ে তারা দেখতে পান তিনটি গরু আগুনে পুড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে একটি গরু মারাত্বক আহত হয়ে পড়ে রয়েছে। পরে আহত গরুটিকে উদ্ধার করে বাহিরে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। একদিকে আগুন লাগার বিষয়ে প্রতিবেশী জানান,চাঁন রাতের দিনে বাদীর বাড়ির গোয়ালঘর সংলগ্ন রান্না ঘরের পাশে মহিলারা হাঁস জবাই করে। পরে হাঁসটি দেখালেই লোম ছাড়িয়ে পাটসোলা সিংটি জালিয়ে হাঁসটি সেঁকা হয়। ওই গোয়াল ঘরের বেড়া ছিল খড় দিয়ে তৈরি। পরে এই সিংটির পাটসোলা,র আগুন ওই বেড়া গিয়ে লেগে সেখান থেকে পুরো গোয়াল ঘরে আগুন থরে যেতে পারে বলে ধারনা। এ দিকে এই ঘটনাকে সর্ম্পন রাজনৈতিক উদ্যোশে প্রনোদিত স্থানীয় ভাবে প্রতিহিংসার শামিল বাদী করে বি এনপি নেতা সাবেক ইউপি -চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, বাদী নজরুল ও তার ভাই নওশাদ পুলিশের তালিকা ভূক্ত চরমপন্থি সন্তাসী। সম্প্রতি পাবনা জেলায় অন্যান্য চরমপন্থির সাথে আত্নসমর্পন করেছে। এ ছাড়া তারা দুই ভাই একাধিক অস্র মামলা ও তার মামা ঝিকরার এক সময়ের জনপ্রিয় ইউপি -চেয়ারম্যান ও জেলা বি এনপি, র সিনিয়র -সহ সভাপতি আব্দুল হামিদ মরু ও একই এলাকার আফসার মেম্বার হত্যার অন্যতম আসামী। এ সব মামলার নওশাদের ৪৪ বছর সাজা হলে সে দীর্ঘ ১৫ বছর সাজা ভোগ করে সম্প্রতি মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসে একের পর এক তান্ডব শুরু করেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান জানান ঘটনা জানার পর ঘটনার পরের দিন সকালেই আমি ঘটনাস্থল পরির্দশন করছি এবং বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলেছি। ঘটনা সর্ম্পকে বিভিন্ন তথ্য প্রদান সাক্ষী যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তবে তিনি আশ্বস্থ করে বলেন এই মামলায় কাউকে হয়রানী মূলক ভাবে গ্রেফতার বা আসামী করা হবে না।
বাগমারায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
Share!