ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর ঘোষণা এখনও আসেনি। কিন্তু ঘোষণার আগেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। এ নিয়ে আজ শনিবার মালিকদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। তবে আগামীকাল রবিবার লঞ্চ মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সদরঘাটে ঈদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা হবে। সেখানেই লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার সকালে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. সহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হয়ে গেছে। আমাদের (লঞ্চ মালিক) একটি মিটিং হওয়ার কথা ছিল, মিটিংটি হয়নি। কারণ, সব মালিক ব্যস্ত রয়েছেন। আমরা যারা পারছি টিকিট দিচ্ছি।’
সহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আজকে (১৮ মে) থেকে অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু করেছি। যে পর্যন্ত টিকিট থাকবে, বিক্রিও চলবে।’
তিনি আরো জানান, সদরঘাটে কাউন্টার ও লঞ্চে যোগাযোগ করে অগ্রিম টিকিট নেওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর কালাইয়া রুটে চলাচলকারী বন্ধন-৫ লঞ্চের কর্মী কামাল হোসেন জানান, ঈদের সময় কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছেন তারা। সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার ও ডাবল কেবিল ২ হাজার টাকা রাখা হচ্ছে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র একজন কর্মকর্তা বলেন, ঈদের সময় লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়টি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাচ্ছে না। চাহিদা বেশি থাকায় মালিকরা ঘোষণার আগেই কেবিনের টিকিট বিক্রি করে দেন। এতে কিছু লোক টিকিট পেয়ে যান। আবার কিছু লোক ঘোষণার অপেক্ষায় থেকে শেষ মুহূর্তে কেবিনের টিকিট পান না। পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামের ফিরতে ভোগান্তিতে পড়েন তারা।
তিনি আরো জানান, সদরঘাটে কাউন্টার থাকলেও সেখানে টিকিটি বিক্রিতে আগ্রহ নেই লঞ্চ মালিকদের। মূলত লঞ্চের ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে অগ্রিম টিকিট কিনে নেন যাত্রীরা। কারণ, যারা নদীপথে নিয়মিত চলাচল করেন তাদের লঞ্চের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে।
এ ব্যাপারে ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির গণমাধ্যমকে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ) চেয়ারম্যানের (কমডোর এম মাহবুব-উল ইসলাম) সভাপতিত্বে লঞ্চ মালিক, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে রবিবার সদরঘাটে সভা হবে। সেখানে ঈদ ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে অগ্রিম টিকিট বিক্রি তারিখও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০ মে থেকে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সুপারিশ করব। সভায় অনুমোদন পেলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’