এক বিবৃতিতে ‘ওয়ান স্ট্রাইক’ নীতির জানান দিয়েছে ফেসবুক। এই নীতি প্রযোজ্য হবে অতি জনপ্রিয় ফেসবুক লাইভের ক্ষেত্রে। এখন মন চাইলেই ফেসবুক লাইভে যাওয়ার আগে ভাবতে হবে, আপনি ফেসবুক কোনো ধরনের নিয়ম-কানুন ভেঙেছিলেন কি না। বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশেষ করে যারা ফেসবুকের সিরিয়াস টাইপের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করেছেন এবং ফেসবুক যাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাদের ‘ওয়ান স্ট্রাইক’র খড়্গে পড়তে হবে।
যারা প্রথমবারের মতো নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তাদের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লাইভের সুযোগ মিলবে না। নিয়ম ভঙ্গকারীদের অপরাধের ধরন বিচারে কয়েক দফা লাইভে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। নিয়মগুলো কী কী? ফেসবুকে আপনি যা ইচ্ছা তাই না ভেবে শেয়ার করে ফেলেন, এই ধরেন কোনো ভায়োলেন্স শেয়ার করা যাবে না, আপনি করে ফেললেন; রক্তাক্ত ছবি, ন্যুড ছবি পোস্ট করলেন- এসব ফেসবুকের নীতিবিরোধী। এমন সকল কর্মকাণ্ড
নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ফেসবুকের এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। এটা তিনি ‘ক্রাইস্টচার্চ কল’ এর একটি অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জেসিন্ডা অনলাইনে হিংসাত্মক ঘটনা প্রচার হওয়া রোধ করতে চান। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লাইভস্ট্রিমিংয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ফিচারটিকে এত সহজে ব্যবহার করা যাবে না।
অবশ্য ফেসবুক স্পষ্ট করেনি ঠিক কোন কোন নিয়ম ভঙ্গের কারণে ‘ওয়ান স্ট্রাইক’ নীতি কার্যকর হবে। আবার ঠিক কত সময়ের জন্যে ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞার শিকার হবেন তাও বলা হয়নি। অবশ্য আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিষ্ঠান আরো বেশি নিয়ম-নীতি ব্যবহারকারীদের ওপর চাপাবে।
ফেসবুক আরো জানায়, নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে এই প্লাটফর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা সহজে শনাক্তে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় অর্থায়ন করা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, আসন্ন প্যারিস সামিটে অনলাইনে হিংসাত্মক ও সন্ত্রাসী উপাদান প্রচার বন্ধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সরকার ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান জানাবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের গবেষণায় অর্থায়নকে স্বাগন জানিয়েছেন আরডার্ন। মার্চে ১৫ তারিখে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের সেই ভিডিওটি সরানোর কাজটি অনেক ধীর গতিতে এগিয়েছে। এতে করে বিশ্বের অসংখ্য মানুষ সেই দুঃস্বপ্নের ভিডিওটি দেখেছেন।
ফেসবুক জানায়, ক্রাইস্টচার্চে হামলার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা বিশ্ব থেকে ১৫ লাখ ভিডিও মুছে ফেলে ফেসবুক। মার্চের শেষের দিকে একই ভিডিওর ৯০০টি ভিন্ন সংস্করণ বেরিয়েছে অনলাইনে। ‘ওয়ান স্ট্রাইকের’ মাধ্যমে আর এ ধরনের ভিডিও ছড়াবে না অনলাইনে। নিয়ম ভঙ্গকারীরাও যখন তখন চাইলে লাইভ শুরু করতে পারবেন না।