শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহত জায়ানের (৮) মরদেহ দেখতে তার নানা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের রাজধানীর বনানীর বাসায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার পৌনে দুইটার দিকে ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের বাসায় আসেন তিনি।
এর আগে পৌনে ১টায় শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ছোট্ট জায়ানের মরদেহ হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর তা শেখ সেলিমের বনানীর ২/এ’র ৯ নম্বর বাসায় নেওয়া হয়।
আজ বাদ আসর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হবে ছোট্ট শিশু জায়ান।
জায়ান উত্তরা রাজধানীর সানবিম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই শেখ সেলিম। তাই পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা হয়ে যেত জায়ানকে।
গতকাল মঙ্গলবার সরকারি সফর শেষে ব্রুনেই থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই নাতির শোকে কাতর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে সান্ত্বনা দিয়েছেন বড় বোন শেখ হাসিনা। এ সময় ভাই শেখ সেলিমের ঘাড়ে হাত রেখে প্রধানমন্ত্রীকে কাঁদতে দেখা যায়।
পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা হয়ে যেত জায়ানের। দেখা হওয়া মাত্রই জায়ান প্রধানমন্ত্রীকে দাদু বলে জড়িয়ে ধরত। চুমু খেত। প্রধানমন্ত্রীও আদরের নাতিকে নিয়ে খুনসুটিতে মেতে উঠতেন। জায়ানে মৃত্যু দাগ কেটেছে প্রধানমন্ত্রীকে। মঙ্গলবার ব্রুনাই সফর থেকে ফিরে বিমানবন্দরেই শেখ সেলিমের কাঁধে হাত রেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রীলঙ্কায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪৫ জনই শিশু যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের শিশু জায়ান চৌধুরী।
গত রবিবার শ্রীলঙ্কার তিন গির্জা ও তিন হোটেলসহ আটটি স্থানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় নিহতের পাশাপাশি আহত হয় অন্তত ৫০০ জন। এর মধ্য দিয়ে এক দশক আগে তামিল বিদ্রোহের অবসান ঘটানোর পর থেকে দেশটি সবচেয়ে বড় সহিংসতার শিকার হলো।