বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী নিমাইদীঘি ও পাঠান কলেজ মাঠে জামাই মেলা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর বাংলা সনের চৈত্র মাসের শেষ দিন থেকে তিন দিনের এই মেলা শুরু হয়। যা চলে আসছে ২০০ বছর ধরে।
এলাকাবাসীর আয়োজনে এই মেলার এক সপ্তাহের আগে থেকেই আশপাশের গ্রামগুলোতে আত্মীয়-স্বজন আসতে থাকেন। এই মেলার প্রধান আকর্ষণ জামাইদের মিষ্টি কেনা। এ জন্য এটি জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত। বাড়ি-বাড়ি মেয়ে-জামাই আসেন। সঙ্গে নাতি-নাকনিরা আসে। এতে গ্রামগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
মেলায় আড়াই কেজি ওজনের মিষ্টিসহ বাহারি মিষ্টি ওঠে। আর মেলার কাছে যেতেই বাতাসে বাহারি মিষ্টির মউ মউ ঘ্রাণ। এলাকার জামাইরা মেলায় গিয়ে মাটির হাঁড়িতে ভরে মিষ্টি নেন। এ নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যান। কোনো বাড়ির জামাই কত মিষ্টি কিনতে পারেন, এ নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই মেলামুখী নানা বয়সের সব শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষের ঢল। মেলায় যাওয়ার সব ক’টি পথেই মানুষের ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সারি আরো দীর্ঘ হতে থাকে। মেলার সিংহভাগ জায়গা মিষ্টি ব্যবসায়ীদের দখলে থাকে। পরের স্থানে রয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া রকমারি হোটেল ও শিশুদের খেলনার পসরা নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
মেলার আয়োজক কমিটির লোকজন বলেন, মেলার প্রায় সপ্তাহ আগেই স্বজনদের দাওয়াত দেওয়া হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ থাকে মিষ্টি। তবে এর সঙ্গে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাওয়া যায়। দূর-দূরান্ত থেকে শত শত মানুষ এ মেলায় আসে।