সিলেটের ডাউকি চ্যুতি এলাকায় ভূকম্পন তৈরি হলে সেখান থেকে দুই মিনিট পর ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই দুই মিনিটের মধ্যে সতর্ক করা গেলে ঢাকা বা আশেপাশের মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
সচিব বলেন, ডাউকিতে ভূমিকম্প প্লেট যদি নাড়া দেয় তাহলে দুই মিনিট পর ঢাকা আসবে। এই দুই মিনিট সময়ে যদি ওখান থেকে সিগন্যাল পাই আমরা পুরোটা খালি করতে পারবো। ঢাকা শহরের কোনো লোক ঘরে থাকার দরকার নাই, সব রাস্তায় চলে যাবে, মাঠে চলে যাবে, এটা সম্ভব। দুই মিনিট সময় দিতে হবে। কিন্তু সিগন্যালটা আসতে হবে। সিগন্যাল পাওয়ার জন্য এরকম প্রযুক্তি আছে।
সচিবালয়ের ভেতরে আগুন বা ভূমিকম্প ঝুঁকিতে কোনো ভবন আছে কিনা, তা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, সচিবালয়ের ১নং ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী এখানে আসেন না। মন্ত্রিসভার বৈঠকও এখানে হয় না। তবে শিগগিরই সচিবালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে সব বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বৈঠকের আয়োজন করবে।
সচিবালয় মসজিদের পাশে টিনসেড বিল্ডিংগুলো ভেঙে সেখানে ২০ তলা একটি ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে আগুনের ঝুঁকি প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে আটটি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে সিলেটের হাফলং চ্যুতির ডাউকি চ্যুতি অন্যতম। এসব চ্যুতির কারণে ভূমিকম্প হয়।
এর আগে সকাল ১০ টায় তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।