জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নির্ভর যে কোন ধরনের নাটক, লেখালেখি ও সাহিত্যকর্ম এবং ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কোন প্রকার অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ট্রাস্টের চেয়ারপারসন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং সূত্র জানায়, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নির্ভর যে কোন ধরনের নাটক, লেখালেখি ও সাহিত্যকর্ম এবং বঙ্গবন্ধুর নামে ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এখন থেকে ট্রাস্টের কোন প্রকার অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
সূত্র জানায়, কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নামে কোন প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনার নামকরণের ক্ষেত্রে এরূপ অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
সভায় ট্রাস্টের সমাজ কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা ও ট্রাস্টের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ আরো দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আগের সভায় গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও সভায় পর্যালোচনা করা হয় এবং বিভিন্ন উপ-কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
সভায় ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ এ এম রফিকের মৃত্যুতে সভায় শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সভায় ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সদস্যদের নামে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ এবং মোট ৫০ হাজার ২শ’ টাকা শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।
সভায় অন্যানের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, বঙ্গবন্ধুর পৌত্র রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম লিটন চৌধুরী ও সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমানসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।