এবার বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। একই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বুধবার ঢাকায় এডিবির কার্যালয়ে ‘এশিয়ান উন্নয়ন আউটলুক ২০১৯’র প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ একথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এডিবি জানায়, ব্যক্তি চাহিদা, ব্যক্তিখাতে ভোগের চাহিদা, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যহত থাকা এবং অবকাঠামো খাতে সরকারের ধারাবাহিকভাবে চলা উন্নয়নে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
এডিবি ঢাকা অফিসের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সন চ্যাং হং সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কৃষি ফলন বৃদ্ধি, বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও তেলের দাম কম হওয়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়বে না।
সন চ্যাং হং বলেন, ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৯ এবং ২০১৭ সালে ৭ দশমিক ৩ প্রবৃদ্ধি অর্জন দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম। ১৯৭৪ সালের পরে এটা বড় অর্জন। রফতানি, পণ্যের সরবরাহ ও শিল্পের বিকাশ সঠিক পথে আছে।
পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেন এডিবি ঢাকা অফিসের সিনিয়র এই অর্থনীতিবিদ। এক্ষেত্রে দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নত করা, শিল্পের ভিত বাড়িয়ে রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার বিষয়টি অন্যতম বলে তিনি জানান।