প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার মূল লক্ষ্যই এখন কর্মসংস্থান তৈরি করা, দারিদ্র্য বিমোচন করা। এসব পদক্ষেপেই দেশের জিডিপি এখন ৮ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছে গেছে।’
আজ বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৬৫ প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিভিন্ন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ফসলি জমি নষ্ট করবো না। মানুষের জন্য কাজ করি, সেই মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য না। এক্ষেত্রে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের যেন কষ্ট না হয় সে দিকে নজর দিতে হবে।
রোজায় দ্রব্যমূল্য না বাড়াতে অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান। এই সময় তেল, ছোলা, চিনিসহ নিত্যপণ্যের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত সরবরাহের পাশাপাশি দামও যেন কম থাকে সে বিষয়টি দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে যে একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভব, সেটি আমরা গত ১০ বছরে প্রমাণ করেছি। যখন আমরা সরকার গঠন করি, তখন ছিল বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা- আমরা সেই সময় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে যদি কোনো দেশ এগোতে পারে, তা হলে উন্নয়ন সম্ভব। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার তা প্রমাণ করেছে। সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়নি।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ও বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. ফখরুদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনী অর্থনৈতিক জোন নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’সহ ১১টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন ও ১৩টির অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ১৬টি বাণিজ্যিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ২০টি শিল্প কারখানার ভিত্তিস্থাপন করেন তিনি। একই সঙ্গে আরও ৫ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।