বনানীর এফআর টাওয়ারের ৮ম তলায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
আজ রবিবার দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারের পাশে গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব ফায়জুর রহমান।
ফায়জুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২৯ মার্চ থেকে আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। গণশুনানি তদন্ত কাজেরই একটি অংশ। তদন্ত কমিটি জমির মালিক পক্ষের বক্তব্য শুনেছে। এ ঘটনায় যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছে।
তিনি বলেন, সাধারণত এ ধরনের বহুতল ভবনে যেসব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকার দরকার, তা ছিল না। আগুন লাগার সময় ভবনে কোনো ফায়ার অ্যালার্ম বাজেনি। কখনও কোনো অগ্নি সুরক্ষার মহড়া হয়নি। ভবনের ফায়ার এক্সিট ওয়ে খুবই সরু, অনেকগুলো ফ্লোরে এক্সিট ডোর সিল করা ছিলো। এক্সিট ডোরের কোনো দিকনির্দেশক চিহ্ন ছিল না। এ কারণে আগুনের ঘটনায় ভবনে অবস্থান করা কেউ ওই ডোরটি ব্যবহার করতে পারেনি।
আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গণশুনানির মাধ্যমে ২৪ জন প্রতক্ষ্যদর্শীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে ৮ম তলা থেকে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টি জানায় তদন্ত কমিটি। কমিটি এই ২৪ জন প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের যাবতীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে আগামী ৩ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।