বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে দু-একজন সুপার স্টাইলিস্ট এবং হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান আছেন; সৌম্য সরকার তাদের মধ্যে অন্যতম। তার সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। মুস্তাফিজ, লিটন, সাব্বিরদের মতো জাতীয় দলের ভবিষ্যত হিসেবে ধরা হচ্ছে তাকে। সাতক্ষীরার এই তরুণ ওপেনারের সমস্যা একটাই- ধারাবাহিকতার অভাব। তারপরেও জাতীয় দলের নির্বাচকেরা তাকে বারবার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সৌম্য কেন এত অধারাবাহিক?
জাতীয় দলে খেলা না থাকায় চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর জার্সিতে খেলছেন সৌম্য সরকার। এদিকে আবাহনীর কোচ আবার বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ। সৌম্যকে কাছ থেকে দেখে অভিজ্ঞ এই সাবেক ক্রিকেট খুঁজে পেয়েছেন সমস্যা। যে সমস্যা এড়িয়ে সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহরা আজ সুপারস্টার; সেই সমস্যায় পতিত হয়ে আর মাথা তুলতে পারছেন না সৌম্য।
কী সেই সমস্যা? সুজনের ভাষায়, ‘আবাহনীর নেটে কাজ করার সময় আমি ওদের অনুমতি নিয়ে নিই। যেহেতু জাতীয় দলে খেলে। সেখানে উন্নত কোচিং স্টাফ আছে। আমি কিছু বললে সেটি নেবে কি না, তাদের ব্যাপার। তবে আমার চোখে ভুল ধরা পড়লে বলি, তোর এখানে সমস্যা হচ্ছে। ব্যাট পেছনে থেকে যাচ্ছে, একটু দেরিতে ব্যাট আসছে, এ কারণে সৌম্যর দেখা গেল আগের মতো টাইমিংয়ে সমস্যা হচ্ছে।’
অর্থাৎ, খালেদ মাহমুদের মতে নিজেদের টেকনিকে পরিবর্তন আনতে গিয়েই ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তরুণ ক্রিকেটাররা। তিনি পরামর্শ দেন কোচদের সঙ্গে টেকনিক নিয়ে কথা বলতে, ‘তামিম, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ কেন ধারাবাহিক? কত কোচ ওদের জীবনে এসেছে, কিন্তু একটা টেকনিকই ধরে রেখেছে। নিজেদের টেকনিক নিয়ে খুব একটা ঘাঁটাঘাঁটি করেনি। পরামর্শ নিলে ওরা একজন কোচের কাছ থেকে ধারাবাহিক পরামর্শ নেয়, তার কথা শোনে।’
জাতীয় দলের ফ্যান্টাস্টিক ফাইভের অন্যতম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর সাবেক কোচ জেমি সিডন্সের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘একবার জেমি সিডন্স হাই ব্যাক লিফটে ব্যাটিং করার পরামর্শ দিল। রিয়াদ সেটি করতে চায়নি। নিজের টেকনিকেই অটল থেকেছে। থেকেছে বলেই আজ সে এ পর্যায়ে এসেছে। আমরা যে বলি আমাদের ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিকতা নেই, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ।’