উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেটে চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে ১০টি উপজেলায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে সদর উপজেলাগুলোতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
আজ বুধবার সিলেটে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, কত শতাংশ ভোট হলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, এর কোনো মাপকাঠি নেই। সবচেয়ে বেশি ভোট যিনি পাবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন। কতভোট পড়লো তা কমিশনের দেখার বিষয় না। যতো সংখ্যক ভোটার যাবেন ভোট দিতে, ততো সংখ্যকের ভোট নেওয়া হবে। তাদের ভোটে যারা নির্বাচিত হবেন, তারাই হবেন জনপ্রতিনিধি।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে ব্যালট বাক্স বড় ঝামেলা। এজন্য ইভিএম চালু করলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। যদিও ইভিএম চালু করার ব্যাপারে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত আছে। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইভিএম চালুর কথা বলেছি। কেননা, নির্বাচনের ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়, আগুন দেওয়া হয়, উপড়ে ফেলা, জোর করে সিল মারার ঘটনা ঘটে। আর আগের রাতে নির্বাচনের বাক্সে ভোট দেওয়া পুরনো ঘটনা।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে সিলেটে ইভিএম চালু করতে পারিনি। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে ১০টি উপজেলায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে সদর উপজেলাগুলোতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।