চার মাস আগে তালাক দিয়েছি পলাশকে। সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার কারণেই আমি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’ গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন চিত্রনায়িকা সিমলা।
রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাইগামী একটি ফ্লাইট ছিনতাইচেষ্টার পর কমান্ডো অপারেশনে প্রাণ হারান মাহি বি জাহান পলাশ নামের এক ব্যক্তি। গণমাধ্যমে মাহাদি নামের তার নাম প্রচারিত হয়। চিত্রনায়িকা সিমলার স্বামী ছিলেন তিনি।
সিমলা জানান, ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পলাশের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। নিজের অভিনীত একটি চলচ্চিত্রের পরিচালকের বাসার একটি অনুষ্ঠানে প্রথম পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তাদের বিয়ে হয়। ওই বছরেরই শেষ দিকে, ৬ নভেম্বর তাদের বিচ্ছেদ হয়।
বিচ্ছেদ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিমলা বলেন, কিছু সমস্যা ছিল বলেই ডিভোর্স হয়েছে। তার মানসিক সমস্যাই এর মূল কারণ। মাহি বি জাহান পলাশকে ‘কবর’ নামের একটি শর্ট ফিল্মের প্রযোজক হিসেবেই চিনতাম।সে যা করেছে তা অস্বাভাবিক। দেশের জন্য দুঃখজনক ও লজ্জার। এজন্য যদি প্রয়োজন হয়, আমি দেশের জন্য যেকোনো কিছু ফেস করতে রাজি।
বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে বিমান বাহিনী প্রথম জানতে পারে উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার কথা। ককপিট থেকে পাইলট বিষয়টি জানায় এটিসিকে। পরে উড়োজাহাজটি ৫টা ৪১ মিনিটে জরুরি অবতরণ করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
প্রাথমিকভাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ-র্যাব-এপিবিএন উড়োজাহাজটি ঘিরে রাখে। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১ প্যারা কমান্ডো বাহিনী আসে বিএনএস ইশা খাঁ থেকে। তাদের নেতৃত্বে সেনা ও বিমান বাহিনী, পুলিশ-র্যাব-এপিবিএন সদস্যরা মিলিয়ে ৮ মিনিটেই অভিযান শেষ করতে সক্ষম হন।