Friday , 1 November 2024
সংবাদ শিরোনাম

‘ভ্যাটিকান একটা সমকামী সংস্থা’ নিয়ে তোলপাড়

“দ্যা ভ্যাটিকান ইজ আ গে অর্গানাইজেশন” অর্থাৎ ভ্যাটিকান একটা সমকামী সংস্থা এই নামে বই লেখার পর ব্যাপক তোলপার শুরু হয়েছে। এই বইয়ের ফরাসি লেখক ফ্রিডেরিক মারটেল দাবি করছেন, ক্যাথলিক চার্চের প্রাণকেন্দ্রে কীভাবে দুর্নীতি এবং ভণ্ডামি লুকিয়ে আছে সেটাই তিনি উন্মোচন করেছেন।

লেখক ফ্রিডেরিক মারটেল জানান, তিনি চার বছর ধরে অনুসন্ধান করে বইটি লিখেছেন।

তিনি আরো জানান, কয়েক হাজার যাজক গোপনে সমকামী জীবনযাপন করেন। আবার তারাই জনসাধারণের সামনে এই সমকামিতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে।

ফ্রিডেরিক মারটেল বলেন, ‘তারা সমকামিতা নিয়ে যতটা সমালোচনা করেছে তারা গোপনে সমকামী জীবন উপভোগে ততোটাই কামুক।’

তিনি আরো বলেন, ‘চার বছরের অনুসন্ধানের ফলাফল এই বই। আমি কয়েকটা দেশে গিয়েছি। এবং কয়েক ডজন কার্ডিনাল, বিশপ এবং যারা যাজক হওয়ার জন্য শিক্ষা নিচ্ছে এবং যারা ভ্যাটিকানের সাথে যুক্ত তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি।’

৪১ জন কার্ডিনাল, ৫২ জন বিশপ এবং দুইশ’র বেশি যাজক, শিক্ষার্থী এবং রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বলেও জানান লেখক ফ্রিডেরিক।

তিনি আরো বলেন, অনেক তরুণ যারা তাদের গ্রামে নিজেদের যৌন বৈশিষ্ট্যের জন্য নিগৃহীত হয় তারা পালানোর একটা পথ হিসেবে যাজক জীবনকে বেছে নেয়। আর এভাবেই চার্চ একটা ইন্সটিটিউশনে পরিণত হয়েছে যেখানে বেশিরভাগ সমকামী।

তার ভাষায়, ‘আমি আবিষ্কার করেছি ভ্যাটিকান একটা উচ্চ পর্যায়ের সমকামী সংস্থা।’

ফ্রিডেরিক মারটেল বলেন, চার্চের সমকামী যাজকরা একটা কাঠামো তৈরি করে নিয়েছেন। ফলে দিনে তারা তাদের যৌন বৈশিষ্ট্য দমন করে রাখে। কিন্তু রাতে প্রায়ই ক্যাব নিয়ে সমকামী বারে যায়।

এক সূত্রের বরাত দিয়ে মারটেল আরো জানান, ভ্যাটিকানে ৮০% সমকামী। কিন্তু নিরপেক্ষভাবে এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করতে পারেননি এই ফরাসি লেখক।

ফ্রিডেরিক মারটেল বলেন, তিনি এমন অনেক প্রমাণ পেয়েছেন যেসব যাজকরা জনসাধারণের কাছে সমকামিতা নিয়ে কটাক্ষ করে কিন্তু ব্যক্তি জীবনে তারা সমকামী। এমন হাজারো উদাহরণ রয়েছে।

এদিকে মারটেলের এসব অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করার জন্য ভ্যাটিকানের সাথে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top