সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৈচিত্র্যায়ণ ঘটছে ভালোবাসা দিবস উদ্যাপনেও। একসময় স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা বা অন্য কেউ গোলাপ পেয়েই খুশি থাকত। তাই এ দিবসে গোলাপের চাহিদা নিশ্চিতভাবে সর্বজনীন। কিন্তু বছর বছর উৎসবমুখর উদ্যাপনে পরিবর্তন ঘটছে মানুষের রুচিরও। ভালোবাসার মানুষটিকে এখন উপহার হিসেবে মানুষ ভিন্ন কিছু দিতেই আগ্রহী। ফলে বিক্রেতারাও ভোক্তাদের রুচি আর চিন্তা অনুযায়ী ঢেলে সাজাচ্ছে তাদের বিক্রির পসরা।
ই-কমার্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এসএলআই সিস্টেম এক জরিপে জানায়, ভালোবাসা দিবস ঘিরে গোলাপের চাহিদা দিন দিন কমছে। ফ্লোরিডা রিটেইল ফেডারেশনের (এফআরএফ) জরিপে বলা হয়, ভালোবাসা দিবসে আমেরিকানরা গড়ে ব্যয় করবে ১৬২ ডলার। এতে দেশটিতে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলারের বেচাকেনা হবে। তবে দিবসটি উদ্যাপনে আগ্রহী ভোক্তার সংখ্যা কমছে প্রতিবছর। গত বছর ৫৫ শতাংশ মানুষ এ দিবস উদ্যাপন করেছিল, আর এ বছর করবে ৫১ শতাংশ। এফআরএফ জানায়, এবারের ভালোবাসা দিবসে ভোক্তারা সবচেয়ে বেশি ব্যয় করবে অলংকার ক্রয়ে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। সন্ধ্যায় ঘুরে বেড়ানোতে ব্যয় হবে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। জামাকাপড়ের পেছনে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, ফুল ক্রয়ে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, ক্যান্ডির পেছনে খরচ হবে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার গিফট কার্ড এবং ৯৩৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে সম্ভাষণ কার্ডে।
এফআরএফের সিইও আর স্কট শেলে বলেন, ভোক্তারা এদিন হাত খুলে খরচ করবে, ফলে দিনটি খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ। তবে দিবসটি উদ্যাপনকারী ভোক্তার সংখ্যা কেন কমছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। প্রতিবছরের মতো এবারও পুরুষরাই সবচেয়ে বেশি ব্যয় করবে, যা গত বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি হবে