আগামী শুক্রবার শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী তাবলীগ জামাতের গণ জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। সেজন্য টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতির কাজ। ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে শনিবার।
আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীগণ। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সা’দপন্থী ওয়াসিফুল ইসলামের অনুসারীগণ।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা জানিয়েছেন, আগাগী বুধবারের মধ্যে মাঠের সকল প্রস্তুতি কাজ শেষ করবেন। এখন ময়দানে বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল, খুঁটি ও মাঠের ভিতরে রাস্তার মেরামত কাজ চলছে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দল বেধে খুটি, চট দিয়ে সামিয়ানা টানাচ্ছেন, বিদ্যুতের তার টানাচ্ছেন এবং বিদেশী মেহমানদের জন্য আলাদা মঞ্চসহ বয়ানমঞ্চ প্রস্তুত করছেন।
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মুসল্লী মো. সেলিম মিয়া এসেছেন। তিনি বলেন, আমি একজন চাকরিজীবী। ইজতেমা মাঠে কাজ করতে এসে আমি অনেক খুশি। তিনি বলেন, আল্লাহর রাস্তায় এসে আমি অনেক কিছু শিখেছি। তাবলিগের উসিলায় আমি জীবনের পরিবর্তন পেয়েছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, দ্বীনের রাস্তায় চলার মতো রাস্তা আল্লাহ আমাকে দেখিয়েছেন। আমি এখানে এসেছি, কারণ এ কাজটিই চিরস্থায়ী আর দুনিয়ার কাজ হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী।
গাজীপুর থেকে আসা মো. জুনায়েত বলেন, ১৪০ জনের একটি জামাত মাঠে কাজ করার জন্য চান্দনা চৌরাস্তা থেকে এসেছি। তিনি তাবলীগের সঙ্গে ছোটকাল থেকে জড়িত। ১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ প্রস্তুত্তির কাজ করে আসছেন। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেওয়া মুসল্লিরা সুন্দরভাবে অবস্থান নিয়ে বয়ান শুনতে পারেন। ইজতেমা যাতে সফল এবং সুন্দরভাবে শেষ হয়। এবার মাঠ প্রস্তুতির কাজ শুরু করতে একটু দেরি হলেও আমরা চেষ্টা করছি কাজ সময় মত শেষ করতে।
বিশ্ব ইজতেমার বয়ান মঞ্চ তৈরি এবং সাফাই জামাতের জিম্মাদার ফকির আতাউর রহমান বলেন, ১০ জন সূরা সদস্যের তত্বাবধানে বিভিন্ন জামাতে বিভক্ত হয়ে মাঠ প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রায় ২০ হাজার তাবলিগ জামাতের সাথি স্বেচ্ছাশ্রমে মাঠ প্রস্তুতের কাজ করছেন। তিনি বলেন, আগামী বুধবারের মধ্যে মুসল্লীদের জন্য মাঠ প্রস্তুতের কাজ শেষ হবে। ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে শনিবার।