বাংলা মাসের ‘মাঘ’ এবং ইংরেজির ‘জানুয়ারি’ সবচেয়ে শীতল মাস। কিন্তু মধ্য জানুয়ারি পার হলেও হাঁড়কাপানো শীতের দেখা নেই। মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহেও বাংলার চির চেনা প্রবাদ-‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’ এই প্রবাদমতো নেই শীতের তীব্রতা।
এবার মাঘ মাসেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঙ্ক্ষিত শীত নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, পশ্চিমা লঘুচাপ দেশের একবারে উত্তর দিয়ে চলে যাওয়াতে পূবালি বায়ুর সাথে সংযোগ ঘটেনি।
ফলে এসময় সারাদেশে প্রবল শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস থাকলেও প্রবলভাবে সক্রিয় হতে পারছে না শৈত্যপ্রবাহ।
বরং আগামী ২-৩ দিন সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বেড়ে শীতের অনুভূতি আরো কমবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আয়েশা খাতুন।
এবারের শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চার দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ জানুয়ারি রেকর্ডকৃত ওই তাপমাত্রা এবারে শীত মৌসুমের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর থেকে দেশের পশ্চিমের তিন বিভাগের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় তীব্র থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ।
এতে রাজশাহী বিশেষ করে রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, নীলফামারিতে ঠাণ্ডায় কিছুটা বিপর্যস্ত ছিলো জনজীবন।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় ধাপে মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস ছিলো। তবে বাস্তবতা হলো দেশের একেবারে পশ্চিমে এবং উত্তর অংশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।