যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান ও মুসলিম সিনেটর হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত শেখ রাহমান। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) জর্জিয়ার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে শপথ নেন তিনি।
গত বছরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দলীয় প্রাইমারিতে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে সিনেট নির্বাচনে প্রার্থী হন শেখ রাহমান। গেলো ৫ই নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের হয়ে নির্বাচন করেন তিনি। তার আসনটিতে রিপাবলিকান দলের কোনো প্রার্থী না থাকায় সিনেটে তার অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পড়ে।
নির্বাচনে ৩৪ হাজার ৪২৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন শেখ আব্দুর রাহমান। তার এ জয়ের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো কোনো মুসলিম এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হলেন। শেখ রাহমান যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়া থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
কিশোরগঞ্জে তাঁদের সচ্ছল পরিবার। চন্দন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন পড়াশোনার জন্য। পড়াশোনার খরচ জোগাতে চন্দন হোটেলে থালা-বাসন ধোয়ার কাজ নেন। ঘণ্টায় পেতেন তিন ডলার। কিন্তু তিনি স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি। সেই স্বপ্ন তাঁকে নিয়ে এসেছে এত দূর—তিনি এখন জর্জিয়ার সিনেটর।
চন্দনের বাবা নজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা। চন্দন গর্ববোধ করেন মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্তান হিসেবে। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন।
১৯৮১ সালের ৭ জানুয়ারি চন্দন আমেরিকায় পা রাখেন। ১৯৯৫ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব পান। জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতি ও গ্লোবাল স্টাডিজ বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট হন। তারপর রাজনীতিতে সক্রিয় হতে থাকেন। কাজ করতে থাকেন ন্যাশনাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক, সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ইত্যাদি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে। যোগ দেন ডেমোক্রেট পার্টিতে।