গত সোমবার রাতে ডেমরার কোনাপাড়ার শাহজালাল রোডের নাসিমা ভিলার নিচতলার একটি কক্ষ থেকে ফারিয়া ও নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামি মোস্তফা (২৮) ও আজিজুলকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজ বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সে হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেছেন ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ উদ্দিন।
তিনি জানান, লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু নুসরাত (৪) ও ফারিয়াকে (৫) ঘরে ডেকে নেন গোলাম মোস্তফা। অসৎ উদ্দেশ্যে ভাই আজিজুল বাওনিয়াকে আগেই বাসায় খবর দিয়ে আনেন।
ঘরে ডেকে প্রথমে শিশু দু’টিকে নিজের স্ত্রীর লিপস্টিক দিয়ে সাজান মোস্তফা। এরপর তারা দুই ভাই মিলে ইয়াবা সেবন করে শিশু দু’টিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের চিৎকারে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ফারিয়াকে গলাটিপে হত্যা করেন আজিজুল ও নুসরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন মোস্তফা।
এ সময় আজিজুল ও মোস্তফা ইয়াবা সেবন করে উচ্চ শব্দে গান ছাড়েন। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তারা চিৎকার করে। চিৎকারের এক পর্যায়ে ফারিয়াকে গলা টিপে হত্যা করেন আজিজুল এবং নুসরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মোস্তফা।
হত্যার পর আজিজুল পালিয়ে গেলেও মোস্তফা দুই শিশুর মরদেহ নিয়ে বাসায় থাকে। এক পর্যায়ে খাটের নিচে মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়।
মোস্তফার স্ত্রী সন্ধ্যার দিকে গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফিরলে স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পান। মেঝেতে শিশুদের সেন্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় স্বামী-স্ত্রীর চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন টের পায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। সে সময় মোস্তফা পালিয়ে গেলেও পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।