মিশরে ২,৩০০ বছরের পুরনো একটি দুর্গ আবিষ্কৃত হয়েছে। লৌহিত সাগরের তীরে দুর্গটি গড়ে তোলা হয়েছিল প্রাচীন ‘বেরেনিক’ বন্দরের নিরাপত্তার জন্য। একটি পোলিশ-আমেরিকান প্রত্নতাত্ত্বিক দল এটি আবিষ্কার করেছে।
মিশরে টলেমির শাসনামলে দুর্গটি নির্মিত হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানান, দুর্গটির পশ্চিম দিকের প্রাচীর দুই লাইন বিশিষ্ট। আর পূর্ব ও উত্তর দিকের প্রাচীর এক লাইন বিশিষ্ট। কৌশলগত স্থান হিসেবে কোণে রয়েছে চারকোনা বিশিষ্ট টাওয়ার যেখানে প্রাচীর বিভাগগুলো সংযুক্ত।
এ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে অনলাইন জার্নাল অ্যান্টিকুইয়িটি’তে।
বেরেনিক দুর্গটির বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ হলো একটি কমপ্লেক্স। এটি প্রায় ৫২৫ ফুট (১৬০ মিটার) লম্বা এবং ২৬২ ফুট (৮০ মিটার) প্রস্থ। এতে রয়েছে তিনটি বড় আঙ্গিনা এবং বেশ কয়েকটি সংযুক্ত কাঠামো। দুর্গটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এর অভ্যন্তরে নির্মিত একটি চমৎকার স্মৃতি স্থাপনা যা বালু দ্বারা আচ্ছাদিত।
দুর্গটির গেইটহাউজের অভ্যন্তরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা পেয়েছেন শিলা কেটে নির্মিত একটি কূপ। এর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে বেশ কয়েকটি ড্রেন ও পুল। কূপটি বৃষ্টির পানি ও ভূগর্ভস্থ পানি সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সরবরাহের জন্য নির্মিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহৎ আকারের দুই পুলে ১৭ হাজার লিটারেরও বেশি পানি সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। বৃষ্টির পানি উত্তোলন ও সংগ্রহ করার এ প্রক্রিয়া থেকে বোঝা যায় বেরেনিক অঞ্চলের জলবায়ু এখনকার চেয়ে বেশি আর্দ্র ছিল।
দুর্গের উত্তর পাশের প্রতিরক্ষা প্রাচীরের দক্ষিণে আবর্জনা ফেলার প্রাচীন আঁস্তাকুড়ে প্রত্নতাত্ত্বিকরা খুঁজে পেয়েছেন একটি টেরাকোটা ভাস্কর্য, মুদ্রা এবং হাতির কপাটের টুকরো।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করছেন দুর্গটি থেকে যুদ্ধের ময়দানে হাতি পাঠানো হতো।